কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গকে অক্ষত রাখতে, বুধবার ঘূর্ণিঝড় ফনির মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হল নবান্নে৷ ইতিমধ্যেই দুর্যোগ এড়াতে তড়িঘড়ি মত্স্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে৷ এছাড়াও সমুদ্র এলাকাগুলি থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ দ্রুত তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘বিশেষ ট্রেনে’র৷ হওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তি সঞ্চয় করে ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ফনি৷ তবে ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়লেও তার কিছুটা প্রভাব এসে পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া দপ্তরে মনে করছে, ওডিশায় আছড়ে পড়ার পর গতি হারালেও ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
সেক্ষেত্রে রাজ্যের উপকূল এলাকায় কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। বুধবার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্যই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা হয় নবান্নে৷ যদিও ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য প্রশাসন৷ ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কি ধরণের বিপর্যয় হতে পারে তার খুঁটিনাটি জেনে নিয়েছে নবান্ন৷ এ বিষয়ে প্রশাসনিক মহলেও সারা হয়েছে একাধিক বৈঠক। তারপরেই নবান্নের তরফ থেকে বের করা হয়েছে একটি নির্দেশিকাও৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২ মে থেকে সমুদ্রে যেতে পারবে না মত্স্যজীবীরা৷ যাঁরা ইতিমধ্যেই মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের বুধবার বিকেলের মধ্যে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও ফনির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দিঘার সৈকতে চলছে পুলিশের মাইকিং৷