মর্মান্তিক! রাত ভর বাড়ির বারান্দায় পড়ে করোনা আক্রান্তের দেহ, দেখা নেই প্রশাসনের

মর্মান্তিক! রাত ভর বাড়ির বারান্দায় পড়ে করোনা আক্রান্তের দেহ, দেখা নেই প্রশাসনের

কৃষ্ণনগর:  করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ৷ এরই মাধে উঠে এল এক মর্মান্তিক ঘটনা৷ ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাড়িতে পড়ে রইল করেনা আক্রান্তের দেহ৷ অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের৷ মৃত ব্যক্তি নিজে দোকানের মালিক হওয়া সত্ত্বেও অক্সিজেন জোগাড় করা যায়নি বলেই জানায় তাঁর পরিবার৷ ঘটনাটি কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরে৷ 

আরও পড়ুন- করোনার কোপে কলকাতা মেট্রো, কমছে ট্রেনের সংখ্যা

গতকাল রাত ২টো নাগাদ  নরহরি মুখার্জী লেনের বাড়িতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির৷ তখন থেকেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ৷ বাড়ির বারান্দায় দেহ ফেলে রাখা হয়েছে৷ পরিবারের সদস্যরা কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না৷ উল্টো দিকেই রয়েছে শক্তিনগর হাসপাতাল৷ ফলে বহু মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন৷ রাস্তা থেকে সরাসরি দোতলার বারান্দায় মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে৷  বারান্দায় চেয়ারের মধ্যই মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ দেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা এখনও হয়নি৷ উল্লেখ্য বিষয় হল ২টি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হন এই ওষুধ ব্যবসায়ী৷

পরিবারের সদস্যরা জানান, অক্সিজেনের অভাবে উনি ছটফট করছিলেন৷ কিন্তু কালকে ভোট থাকায় বহু দোকান বন্ধ ছিল৷ ফলে অক্সিজেন পাওয়া যায়নি৷ দোকানের মালিককেও ফোন করে অক্সিজেন চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ভোটের জন্য তিনি অক্সিজেন পৌঁছতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দেন৷ কারণ কোনও কর্মী ছিল না৷ বাড়ির উল্টোদিকেই রয়েছে সরকারি হাসপাতাল, সেখানেও মেলেনি অক্সিজেন৷ রাতে অক্সিজেন নিতে যখন বারান্দায় বেড়িয়ে এসেছিলেন, তখনই মৃত্যু হয় তাঁর৷ বাড়িতে বয়স্ক স্ত্রীও কোভিড আক্রান্ত৷ এই বিষয়ে এসডিও-কে জানানো হয়েছে৷ তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন৷ রাত দশটার পর দেহ নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷ 

আরও পড়ুন- বঙ্গে উৎপাদিত অক্সিজেন ভিন রাজ্যে পাঠানোর নির্দেশ! কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের

এই ঘটনায় গোটা এলাকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে৷ যাঁরা জানেন না তাঁরা আবার এই বাড়ির সামনে দিয়েই যাতায়াত করছেন৷ কাল রাত থেকে রাস্তার ধারে এই বাড়িতে বারান্দার পড়ে রয়েছে মৃতদেহ৷ উল্লেখ্য, এদিকে যেখানে করোনা রোগীদের দেহ রাখা হচ্ছিল, ওই মর্গটি বন্ধ করে দেওয়ায় দেহ রাখা নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *