বাড়িতে বসিয়ে অমিতকে পাত পেড়ে খাবেন, কিন্তু রাজনীতিতে ‘না’ বাউল শিল্পীর

বীরভূমের এক কৃষক-বাউল পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 

নয়াদিল্লি: এর আগে রাজ্য সফরে এসে আদিবাসী পরিবারের মধ্যাহ্নভোজ করতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এবার ফের একবার রাজ্য সফরে আসছেন তিনি। এবারেও বাংলা এবং বাংলার কৃষক সমাজের মন পেতে বীরভূমের এক কৃষক-বাউল পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও যার বাড়িতে তিনি আসছেন সেই শিল্পী বাসুদেব দাস বাউল একেবারেই রাজনীতিতে আসতে চান না কোনদিন।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আজতকের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহার বাড়িতে আসছেন এটা জানার পর তিনি উচ্ছ্বসিত। কিন্তু ভবিষ্যতে কোনদিন রাজনীতিতে আসবেন বলে তিনি ঠিক করেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, কোনদিনই রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা ছিল না তাঁর, এখনো সেই ইচ্ছাই বহাল রয়েছে। এদিকে কৃষক আন্দোলনের জন্য দেশজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। তারমধ্যে বাংলার এক কৃষক পরিবারের দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ আরো চড়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশজুড়ে একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে কৃষকরা, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে এক কৃষকের বাড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজ করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়। নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গোটা দেশজুড়ে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরেও ইতিবাচক কোন ঘটনা ঘটেনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুজনেই অনড় নতুন কৃষি আইন নিয়ে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। 

জানা গেছে, রাজ্যে আসার পর শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রথমে মধ্যাহ্নভোজ করবেন এক কৃষকের বাড়িতে। তারপর রবিবার বাসুদেব দাস বাউলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করতে দেখা যাবে তাঁকে। পরপর দু’দিন কৃষক এবং বাউল শিল্পীর বাড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, একদিকে কৃষক আইন বিরোধিতার উত্তাপ, অন্যদিকে আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, সব মিলিয়ে রাজ্যের কৃষক সম্প্রদায় এবং সাধারণ মানুষের মন পেতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। তবে এই মধ্যাহ্নভোজের ফল আগত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কতটা সুবিধা দেয় তা তো সময়ই বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − sixteen =