মেদিনীপুর: দু’দিনের সফরে বঙ্গে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ সফরের প্রথম দিনে কলকাতায় একগুচ্ছ কর্মসূচি সেরে তিনি পৌঁছন স্বামী বিবেকানন্দের ভিটেয়৷ তার পর তিনি পৌঁছে যান ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থানে৷ সেখানে পৌঁছে এই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি৷ পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ অমিত শাহের সফরকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা যায়৷ ক্ষুদিরামের জন্ম ভিটে থেকে বেরিয়ে ৫০০ বছরের পুরনো মা সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাবেন অমিত শাহ৷
আরও পড়ুন- অমিত-সভায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ৯ বিধায়ক, কারা আছেন তালিকায়?
অমিত শাহ বলেন, ‘‘বীর শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটেতে এসে এখানকার মাটি কপালে লাগানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের যোগদান ভারত কোনও দিনও ভোলেনি৷ ক্ষুদিরাম বসুও এই পরম্পরার বাহক ছিলেন৷ গোটা দেশে ওঁনার জনপ্রিয়তা ছিল৷ বাংলায় এসে এখানকার মাটি মাথায় স্পর্শ করালাম। এতে ধন্য বোধ করছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘দেশের জন্য প্রাণ ত্যাগের সুযোগ আমরা পাইনি৷ তবে দেশের জন্য বাঁচার সুযোগ পেয়েছি৷ ক্ষুদিরাম বসুকে স্মরণ করে সেই পথেই এগিয়ে যাব৷’’ আজ ক্ষুদিরাম বসু ছাড়াও পন্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল, আসপাকুল্লা খান এবং ঠাকুর রোশন সিংয়ের শহিদ দিবস বলেও জানান অমিত শাহ৷ তৃণমূলকে বিঁধে তিনি বলেন, ক্ষুদিরাম বসু যতটা বাংলার ছিলেন, ততটাই ছিলেন ভারতের৷ দেশের জন্য যাঁরা লড়াই করেছিলেন, তাঁরা কোনও দিনও ভেদাভেদ করেননি৷
আরও পড়ুন- ‘তাঁর ভাবাদর্শ মেনেই চলি, আজ সৌভাগ্যের দিন’, স্বামীজির বাড়িতে এসে আবেগপ্রবণ শাহ
অন্যদিকে, এদিন ক্ষদিরাম বসুর পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, এই প্রথম কোনও সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের সম্মান জানানো হচ্ছে৷ সরকারের এই পদক্ষেপে তাঁরা অভিভূত৷ ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়িতেও যান অমিত শাহ৷