বিষ্ণুপুর: বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার বাকি আর মাত্র দুদিন। তার আগে আজই রাজ্যে প্রচারের শেষ দিন। শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঝড় তুলতে আজ ফের রাজ্যে এসেছেন অমিত শাহ। আর বিষ্ণুপুরের সভা মঞ্চ থেকে চেনা ভঙ্গিতে আবারও তুলেছেন তৃণমূল বিরোধী জোরদার আওয়াজ।
বিজেপি কর্মীদের যাঁরা এ রাজ্যে খুন করেছে, গেরুয়া সরকার গঠন হলে তাঁরা কেউ রেহাই পাবে না, এদিন এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য জুড়ে সাম্প্রতিক অতীতে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন ১৩০ জন বিজেপি কর্মী। আর এই সমস্ত দলীয় কর্মীদের খুনের প্রতিশোধ নেওয়া হবে ২ মে-র পর। কী প্রতিশোধ? অমিত শাহ বলেছেন, খুনিদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো হবে। কড়া শাস্তি পাবেন সকলেই।
এদিন বিষ্ণুপুরের সভা মঞ্চ থেকে মমতা সরকারকে রাজ্য থেকে হঠিয়ে দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “২ মে যেন দিদি এ রাজ্যে আর খাতা না খুলতে পারে। ওঁকে ০ রানে আউট করতে হবে।” গত দশ বছরে বাংলায় কোনো বিকাশই হয়নি, জানিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “বিষ্ণুপুরে আমি আগে অনেকবার এসেছি। এখানে এলেই আমার ফোনের আর টাওয়ার থাকে না। আপনারা বিজেপিকে সরকারে আনুন, আর কোনোদিন আপনাদের ফোন থেকে টাওয়ার চলে যাবে না, আমি কথা দিচ্ছি।”
এখানেই শেষ নয়, ভোটে জিততে এদিন ধর্মীয় আবেগকেও হাতিয়ার করেছেন গেরুয়া নেতা। জানিয়েছেন আগামী দিনে বিজেপির সরকার পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হলে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিষ্ণুপুরের সমস্ত জীর্ণ মন্দির সংস্কার করে দেওয়া হবে। এযাবৎ মমতা সরকার যে কোনো কাজই করেনি, বারবার তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন অমিত শাহ। উল্লেখ্য, এদিন অমিত শাহ ছাড়াও নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রসাদ। বাংলায় নীল বাড়ির ক্ষমতা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির শেষ দিনের প্রচারে কতটা প্রভাবিত করতে পারবে ভোট ব্যাঙ্ককে, সেটাই এখন দেখার।