রানিবাঁধ: ঝাড়গ্রামে ভার্চুয়াল জনসভা করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কপ্টারে যান্ত্রিক গোলযোগ হবার কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে বিজেপি। তবে রানিবাঁধে সময়ের কিছুটা পরে হলেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে জনসভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অমিত শাহ। দাবি করলেন, আদিবাসীদের অধিকার দিতেও কাটমানি নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। প্রকল্পের সুবিধা দিতেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলায় যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা মারা গিয়েছেন তাদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহানুভূতি রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিন তিনি বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লেগেছে, তিনি কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু এই বাংলায় যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা নিহত হয়েছেন তাদের কথা কি মমতা জানেন? অমিত শাহের কথায়, সেইসব বিজেপি কর্মীর মায়ের কষ্টের কথা মমতা জানেন না, তাদের পরিবারের কষ্টের কথা তিনি জানেন না। সেই সমস্ত বিজেপি কর্মীরাও কারোর বাবা, কারোর ছেলে এবং কারোর স্বামী, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার তাদের খোঁজ নেয় না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। বলেছেন, বামেদের পর তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যের ক্ষমতায় এনে সাধারণ মানুষ ভেবেছিল অনেক উন্নতি হবে। কিন্তু এখন অনেক অবনতি হয়ে গিয়েছে। এখন আদিবাসীদের সার্টিফিকেট দিতেও ঘুষ নিতে হয় এই সরকারকে। কাটমানি নেওয়া হয় আদিবাসীদের প্রকল্পের সুবিধা দিতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলার ক্ষমতায় এলে এই পরিস্থিতির বদল হবে।
একই সঙ্গে ফের একবার অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন অমিত শাহ। মন্তব্য করেন, পশ্চিমবঙ্গ এখন অনুপ্রবেশের সমস্যায় জেরবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার এই সমস্যা সমাধানে একেবারে ব্যর্থ। কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সমস্ত সমাধান হয়ে যাবে। এখন রাজ্যে দুর্গা পুজো করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হয় বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।