ঠাকুরনগর: তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির বাংলার পার্টি নয় কারণ তারা বাংলা এবং বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু জানে না। এর আগে একাধিক বাংলার মনীষীদের নাম নিতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন বিজেপি শীর্ষ নেতারা। সেই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এবার ঠাকুরনগরের জনসভায় নিজে তো অস্বস্তিতে পড়লেন, দলকেও ব্যাপক অসস্থিতে ফেললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’, নামটাই উচ্চারণ করতে পারলেন না তিনি।
এদিন ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে আগত ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলতে থাকেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠন হবে। বাংলা থেকে সমস্ত হিংসার বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাংলাকে সোনার বাংলা বানানো হবে বলেও জোর গলায় বলতে থাকেন তিনি। এর পরেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বলতে গিয়ে হোঁচট খান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কয়েক সেকেন্ড চুপ করে গিয়েও তিনি নাম বলতে পারেননি। অবশেষে স্বামী বিবেকানন্দের নাম নিয়ে বার্তা দেন তিনি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রবীন্দ্রনাথ এবং বিবেকানন্দের নাম মিশিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘বিবেকানন্দ ঠাকুর’।
এদিকে, আজকের এই সভা থেকেই বড় ঘোষণা করে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সিএএ বা সংশোধিক নাগরিকত্ব আই লাগু হবে৷ নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়ারা৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দলিত সমাজের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার অনেক কাজ করেছে৷ কিন্তু আজও মতুয়া ও নমশুদ্র সমাজ কাস্ট সার্টিফিকেট পায়নি৷ ৭০ বছর ধরে তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ সেই অপমানের হাত থেকেই তাঁদের মুক্তি দিয়ে যোগ্য সম্মান দেবে কেন্দ্রের সিএএ আইন৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি টিকাকরণের কাজ শেষ হতেই আপাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করে দেবে বিজেপি৷’’ তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল সাধারণ মানুষকে উস্কাচ্ছে৷ সংখ্যালঘুদের বলা হচ্ছে আপনাদের নাগরিকত্ব চলে যাবে৷ তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিধান নেই৷ আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না৷