কলকাতা: হাওড়া তৃণমূলের বিদায়ী নেতাদের বিজেপিতে মহাযোগদান সভায় হাজির থাকার কথা ছিল খোদ অমিত শাহের। কিন্তু দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন ও তৎপরবর্তী পরিস্থিতিতে তাঁর বঙ্গ সফর বাতিল হয়েছে। বদলে এদিন হাওড়ার সভায় দেখা গেল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে। কিন্তু, সভায় সশরীরে হাজির না থাকলেও ভর্চুয়াল দুনিয়া থেকে হুংকার ছাড়লেন অমিত শাহ৷
হাওড়ার ডুমুরজোলার এদিনের সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, উপস্থিত ছিলেন সকলেই। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদেরকেও দেখা গেছে এদিনের সভা মঞ্চে। এমনকি সভায় সশরীরে না হলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নবাগত নেতাদের মাধ্যমে ভোটের আগে দলের শক্তি যে অনেকটাই বৃদ্ধি পেল, স্বীকার করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধেও একের পর এক তোপ দেগেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিন ভার্চুয়াল সভা থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘ভাতিজাকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বানানোর জন্য কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলার মানুষের কথা ভাবছেন না। আদতে নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত মমতা। শুধু তাই নয়, সে কারণেই রাজ্যের শাসকদল থেকে নেতারা সব পদ্মফুল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন। গত ৩ মাস ধরে কেন একের পর এক তৃণমূল নেতা দলত্যাগ করছেন তা মুখ্যমন্ত্রীর ভেবে দেখা উচিত।”
হাওড়ার এদিনের সভা থেকে শাসকদলকে ফের এক হাত নেন শুভেন্দু অধিকারীও। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই তিনিও বাংলার উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন। প্রাক্তন বনমন্ত্রীর বিজেপি যোগদানের ফলে তাঁর বৃত্ত পূর্ণ হয়েছে। বিজেপির এই যোগদান সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করেন অমিত শাহ। তবে শিগগিরই বাংলায় আসার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর নিশানার কেন্দ্রে ছিলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দ্বন্দ্ব ভোটের আগে বাংলার রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়েছে শতগুণ।