কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ জানিয়েছিলেন যাতে তাঁকে নির্বাচনে না দাঁড় করানো হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই প্রার্থী হতে চাননি অমিত মিত্র। মমতা অবশ্য সেই অনুরোধ রেখেছিলেন এবং খড়দহ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কাজল সিনহা। তারপর ওই কিছু পরিবর্তন হয়েছে এবং তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে ঘাসফুল সরকার। এবারেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে ছিলেন তিন বারের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, তবে এই অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন রেখেও রাখলেন না। বরং বলা ভালো রাখতে পারলেন না। অর্থমন্ত্রী হলেন না অমিত মিত্র কিন্তু পেলেন বড় দায়িত্ব।
আজ বাংলার মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত কার্যকরী হয়েছে এবং অনেকেই নতুন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। রাজ্যের অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নিয়েছেন। কিন্তু অমিত মিত্রকে মন্ত্রী না করা হলেও তিনি হয়েছেন এই দফতরের উপদেষ্টা। অর্থাৎ মন্ত্রী না করা হলেও অমিত মিত্র অবশ্যই বড় একটি দায়িত্ব সামলাবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজে সাহায্য করবেন অমিত মিত্র এবং দেবেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এই পদে পূর্ণমন্ত্রীরই মর্যাদা পাবেন তিনি। এর আগে যেভাবে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক সেভাবেই অমিত মিত্রের জন্য একই কাজ করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আজ রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে। রাজ্যের নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী হয়েছেন পুলক রায়। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর জায়গায় এলেন পুলক। এদিকে, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী হচ্ছেন মানস ভুঁইয়া৷ জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, অসুস্থ সাধন পাণ্ডের হাত থেকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে৷ কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এই দফতরটি ফাঁকা হয়ে যায়৷ ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল মানস ভুঁইয়াকে৷ শিল্প বাণিজ্যের সঙ্গে শিল্প পুর্গঠন দফতরের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷