কলকাতা: স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সেলের কাঁচামাল বিভাগের সদর দফতর কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে তিনি যে চিঠি লিখেছিলেন তার উত্তর পাননি। তাই ফের একবার এই একই ইস্যুতে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। এই চিঠিতেও তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে বাংলায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিন অমিত মিত্র চিঠিতে লিখেছেন, তিনি খুবই অবাক হয়েছেন যে, এই ব্যাপারে যে চিঠি আগে পাঠানো হয়েছিল তার কোনও উত্তর আসেনি এখনও। সেই কারণে তিনি আবারও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে এই চিঠি লিখছেন কারণ যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে বাংলায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিদ্ধান্ত বদল হলে কলকাতায় কাজ করা বহু কর্মী আশ্বস্ত হবে এবং এই মহামারী পরিস্থিতিতে কাজ হারানোর আশঙ্কায় জর্জরিত হবে না। এর পাশাপাশি অমিত মিত্র চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন যে বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর বিগত বছরগুলোতে একের পর এক সদর দফতর কলকাতা থেকে সরানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কস কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, কোল ইন্ডিয়া, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হেড কোয়ার্টার। এছাড়াও রয়েছে টি বোর্ড। ওদিকে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত লেগেছে। ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যু নিয়ে হোক, কিংবা প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্যু। সব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি টক্কর হয়েছে কেন্দ্রের। এবার এই সেলের সদর দফতর বদল নিয়েও যে সংঘাত লাগতে পারে তা বলাই বাহুল্য। কারণ, বাংলার নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলেই আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং রাজ্য সরকার।