‘চেষ্টা নয়, মেটাতেই হবে’, GST বাবদ রাজ্যের ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরব অমিত মিত্র

‘চেষ্টা নয়, মেটাতেই হবে’, GST বাবদ রাজ্যের ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরব অমিত মিত্র

কলকাতা: অতীত তথ্য বলছে, এক সময় জিএসটি-র বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিল গুজরাত সরকার৷ সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ মধ্যপ্রদেশের তৎকালীন অর্থমন্ত্রীও বিরোধীতা করেছিলেন এমপাওয়ার্ড কমিটিতে।এর পর বিজেপি ক্ষমতায় এসে জিএসটি চালু করার উদ্যোগ নেয়৷ এবার জিএসটি ক্ষতিপূরণ আদায় করতে সরব হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷

আরও পড়ুন- খুলছে না লোকাল ট্রেন-মেট্রো, বন্ধ থাকবে বাসও, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

জিএসটির খসড়া নিয়ে আলোচনার সময়েই বিভিন্ন রাজ্যের প্রশ্ন ছ্লি রাজ্যের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ হবে কী ভাবে? জবাবে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা রাজ্যগুলিকে পরবর্তী পাঁচ বছরে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কিন্তু বেশিরভাগ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর দাবি ‘চেষ্টা নয়, মেটাতেই হবে’৷ কারণ বিভিন্ন রাজ্য তাদের করের অধিকারের প্রায় ৭০ শতাংশ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিল জিএসটি-তে যাওয়ার জন্য। 

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, কেন্দ্র আরবিআই থেকে ঋণ নিয়ে রাজ্যের ক্ষতি মেটাতে পারে। কেন রাজ্যগুলোকে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ঠেলে দেওয়া হল? আমার বা অন্যান্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের যাবতীয় উপদেশ সরিয়ে রাখা হল। 

জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক করার কথা প্রতি তিন মাস অন্তর। কিন্তু গত অক্টোবর মাসের পর এতদিনে বৈঠক হলো। মাঝখানে সাত মাস কেন বৈঠক হলো না, তা চিঠি দিয়েও জানানো যেতো। অমিত মিত্র আরও বলেন, জিএসটি কাউন্সিলের রুল ব‌ই এর ৮,৯, ২১,সহ বেশকিছু আইন সংশোধন করা হল। কিন্তু কাউন্সিলের সদস্যদের তা জানানো হল না৷ 

তাঁর কথায়, শেষ বৈঠকে প্রায় ৯/১০ টা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এই অতিমারির সময় কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর করের ছাড় দেওয়া হোক। সেটাও মানা হয়নি। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এটা করা যেতেই পারতো। অন্ততপক্ষে ০.১ শতাংশও করা যেতো। তিনি বলেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী, যিনি আমার আগে এই কাউন্সিলের এমপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, তিনিও বলেছিলেন ০.১ শতাংশ করার কথায়৷ 

আরও পড়ুন- বাড়ছে দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়, টিকা নিলে অনুমতি পার্কে, ছাড় শ্যুটিংয়ে

অমিতবাবু বলেন, আমাদের আপত্তির পর  অ্যাম্বুল্যান্স-এর ক্ষেত্রে কর ১৮ শতাংশ কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রী আরও জানান, ৪ হাজার ৯১১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। আর সব মিলিয়ে সব রাজ্যের পাওনা প্রায় ৬৩ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেও তার উত্তর মেলেনি৷ কেন্দ্র কোনও কথা শুনছে না। তাই বাধ্য হয়ে মানুষের দরবারে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − one =