কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে যে করোনা ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যবহার করতে ব্যর্থ। দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির আই টি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য টুইট করে দাবি করেছেন – এই রাজ্যে ভ্যাকসিন ব্যবহার হচ্ছে কই।
অমিতের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (যদিও তিনি নিজের টুইটে পিসি শব্দটি ব্যবহার করেছেন) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি আরও কোডিভ ভ্যাকসিন চেয়েছিলেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে যা দেওয়া হয়েছে তা কী ব্যবহার করা হয়েছে – প্রশ্ন তুলেছেন অমিত।
অমিতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী – রাজ্যে ২২ লক্ষ ৫১হাজার ৮০০ কোভিশিল্ড এবং ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬০ কোভ্যাকসিন পাঠান হয়েছে। তবে ব্যবহার হয়েছে বেশ কম। পশ্চিমবঙ্গে ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ২৯০ কোভিশিল্ড এবং ৬৩ হাজার ৩৮০ কোভ্যাকসিন ব্যবহার হয়েছে। যা যথাক্রমে ৩৬.৭ এবং ১২.৭ শতাংশ। অমিতের বক্তব্য, রাজ্য করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে নির্লজ্জের মত রাজনীতি করছে। এদিকে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক জানিয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৬৩৩ ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই সময় ভ্যাকসিন প্রোগাম বিস্তারিত সফলভাবে পরিচালনা করতে আরও ভ্যাকসিন প্রয়োজন বলে মোদিকে চিঠি লিখেছেন মমতা। অন্যদিকে অমিতের যুক্তি, অতিরিক্ত ৭ লক্ষ ৩৮ হাজার কোভিশিল্ড এবং ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৪০ কোভ্যাকসিন আসছে রাজ্যের জন্য।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন জিতেছিল। ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট তারা নিশ্চিত করেছে। যা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২২.৭৬ শতাংশ বেশি। এই ব্যাপক ভোট বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে কোনও কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। তা যে ধর্মীয় মেরুকরণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিধানসভায় বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামদলগুলি ফলাফল বিচার করতে হয় তবে দেখা যাবে বিজেপি প্রায় ১২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৪৩.৬৯ শতাংশ ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ২২টি আসনে জিতেছিল। লোকসভার ফলাফল বিচার করলে ১৬৩টি আসলে তৃণমূলের এগিয়ে থাকার কথা। আপাতদৃষ্টিতে লোকসভার নিরিখে বিচার করলে বোঝা যায় তৃণমূল অন্তত ৪১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।