কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য। এমনকি রাজনৈতিক তর্কাতর্কিও ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। অন্যদিকে বিশ্বভারতীও জমি দখল ইস্যুতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আইনি পদক্ষেপ নিলেন তিনি। ইমেইল মারফত জমি দখলের অভিযোগ তুলতে বললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ইমেইল করেছেন অমর্ত্য সেন। সেই চিঠিতে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ যে মিথ্যে এবং ভুয়ো সে কথাও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। যদিও এই চিঠি আদতে অমর্ত্য সেন নিজে পাঠিয়েছেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কারণ চিঠিতে অমর্ত্য সেনের কোনো সই নেই বলে দাবি তাঁর। তিনি মনে করছেন, চিঠিতে যে ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে সেটা অমর্ত্য সেনের হতে পারে না। আর যদি সত্যি সত্যিই অমর্ত্য সেন এই ভাষাতে চিঠি লিখে থাকেন তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে চিঠির প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং অমর্ত্য সেনের মধ্যে যে বিভাগ তা আরো বহুগুণ বেড়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে এই ইস্যুতে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিকে আক্রমণ করে পাশে দাঁড়িয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের। তবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিছু সপ্তাহ আগেই স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তাঁর বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো ইচ্ছা নেই নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মতো মানুষকে হেনস্থা বা অপমান করার। তবে জমি দখল ইস্যু নিয়ে দু’দিন আগেই সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল যে অমর্ত্য সেন বেআইনিভাবে জমি দখল করেছেন। তাই এখন এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের আইনি পদক্ষেপ অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।