পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি ফেরাল আমডাঙা

কলকাতা: ভোট শুরু হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায় আমডাঙা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ তো দূরস্ত, পুলিশের বড় একটা মেলেনি। বুথে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি চলে দেদার বোমাবাজি। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই বারে বারে সংঘর্ষ হয়ে আমডাঙায়। তাই লোকসভা নির্বাচনেও আমডাঙায় অশান্তির আঁচ করা হয়েছিল আগে থেকেই। ভোটগ্রহণের শুরু

পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি ফেরাল আমডাঙা

কলকাতা: ভোট শুরু হওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায় আমডাঙা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ তো দূরস্ত, পুলিশের বড় একটা মেলেনি। বুথে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি চলে দেদার বোমাবাজি। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই বারে বারে সংঘর্ষ হয়ে আমডাঙায়। তাই লোকসভা নির্বাচনেও আমডাঙায় অশান্তির আঁচ করা হয়েছিল আগে থেকেই। ভোটগ্রহণের শুরু হওয়ার পরই আমডাঙ্গার বহিসগাছির ১১৯, ১২০ এবং ১২১ নম্বর বুথে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাড়া করেছে বলেও অভিযোগ করেন ভোটাররা। এই ঘটনার পর ফের শুরু হয় ভোটগ্রহণ। তবে নতুন করে অশান্তি ছড়ায় কয়েক ঘণ্টা পরে।

আমডাঙার তাড়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বহিসগাছির ১১৮ নম্বর বুথের পাশে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। এরপরই দুষ্কৃতীরা মাঠের আল পথ ধরে পালিয়ে যায়। ঘটনার জেরে এই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বিকেলে আমডাঙার তেঁতুলিয়ায় বিজেপি এজেন্টকে মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে যান বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি যেতেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকায়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। অর্জুন সিং চলে গেলে সংবাদ মাধ্যমের উপরে চড়াও হন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই বহু অশান্তির সাক্ষী থেকেছে আমডাঙা। এই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে তাই আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমডাঙা ফের একবার তার স্বমহিমায়। প্রশাসনের কর্তাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের বোমাবাজি আমডাঙায়। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *