প্রোমোটারদের হাতে সরকারি জমি তুলে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের পদাধিকারিকদের বিরুদ্ধে

প্রোমোটারদের হাতে সরকারি জমি তুলে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের পদাধিকারিকদের বিরুদ্ধে

নদীয়া: রাজনৈতিক ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে বেআইনিভাবে  টাকার বিনিময় প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়ে সরকারি জমিতে মন্দির তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রধান সহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে বৈধ নিয়মেই মন্দির তৈরির দাবি তুলেছেন জেলা সভাধিপতি। নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।

অভিযোগ ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি সরকারি জমির উপর ছোট একটি মন্দির ছিল। অভিযোগ, এর আগেও ওই সরকারি জায়গাটি বেদখল করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। বর্তমান তৃণমূল জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল পোশাক সহ ভূমি সংস্কার দপ্তর এর মতে বেআইনিভাবে ওই জায়গাটি দখল করে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়ে বেআইনিভাবে জায়গা দখল করে মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। মূলত এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই এলাকার বাসিন্দা স্বপন সান্যাল এবং বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীরা।

যদিও তাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ বৈধ কাগজপত্র নিয়ে ওই মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু আরো বলেন, আমি নিজের উদ্যোগে ওই সরকারি জায়গাটি বাঁচিয়ে রেখেছি। প্রশাসনকে বলেছি যদি কোনো দুর্নীতি থাকে তাহলে কড়া পদক্ষেপ নিতে। মূলত বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেই চক্রান্ত চালানো হচ্ছে, অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, তৃণমূলের ওপর স্তর থেকে নীচের স্তর পর্যন্ত প্রতিটি নেতা দুর্নীতির পাহাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। জেলা সভাধিপতি জেলার একাধিক জমি নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। পাট্টা দেওয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তাই সঠিক তদন্ত করে অতি দ্রুত ওই পদ থেকে সরানো উচিত রিক্তা কুন্ডুকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =