নিজস্ব প্রতিবেদন: 'গাছ লাগাও, প্রাণ বাঁচাও' আন্দোলনে তোলপাড় বিশ্ব। পশ্চিমবঙ্গের বন দফতরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন। রাজ্য জুড়ে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। সেখানে এই পরিস্থিতিতে হাওড়ার পাঁচলা অঞ্চলে এক স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরূদ্ধে উঠল গাছ কাটার অভিযোগ।
হাওড়ার পাঁচলা ব্লকের জুজারসা অঞ্চলের পি এন মান্না ইনস্টিটিউশনে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, বছর সাতেক আগে ২০১৩ সালে, ওই স্কুলের প্রাক্তন পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা যাতে একটু ছায়া পায় গরম কালে তাই বেশ কিছু সংখ্যক গাছ লাগানো হয়েছিল, কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই বর্তমান পরিচালন সমিতি ওই সমস্ত গাছ কেটে ফেলে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে প্রধান শিক্ষক শেখ আখতার আলি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমফানের জন্য বেশ কয়েকটি গাছ পড়ে গিয়েছিল, আমি স্কুলের এক শিক্ষককে গাছ গুলো সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। কথা মত তিনি কিছু লোক লাগিয়ে ছিলেন। যেহেতু কিছু গাছ হেলে স্কুল বাড়ির ছাদ কিংবা দেওয়ালে পরেছিল তাই ডাল পালা ছেঁটে দেওয়া হয়েছে কাটা হয়নি।”
মাঠের চারপাশের বেশ কিছু গাছের গোড়া থেকে ৩ ফুট মতো রেখে বাকি গাছ কেটে ফেলাই হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রামবাসিদের বক্তব্য, আমফানে স্কুলের কোনও গাছই পরে যায় নি। গাছ কাটার জন্য একশো দিনের শ্রমিকদের লাগানো হয়েছিল। গাছ বাঁচাতে এত লড়াই এর মধ্যেও এই অভিযোগ মেনে নেওয়া যায়না। রাজ্যের বন দফতর এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “গাছ কাটার কোনও অনুমতি ছিল না। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”