কলকাতা: ভোট লুঠের অভিযোগে উত্তপ্ত কসবার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড৷ ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৫ নম্বর বুথে সিপিএম প্রার্থী দীপু দাসের পরিবারের ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এমনকী বুথে বুথে বাইরে থেকে লোক জমায়েত করে তৃণমূল ভোট করছে বলেও অভিযোগ সিপিএম প্রার্থী দীপুর৷
আরও পড়ুন- তিন ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বাঘাযতীন মোড়ে অবরোধ বাম প্রার্থীদের, মোতায়েন বিশাল বাহিনী
এদিন দীপু দাস বলেন, আমার চোখের সামনে এক বয়স্ক মানুষকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে তাঁর হাত থেকে প্লাস্টিক কেড়ে নিয়ে চলে যাওয়া হল৷ অথচ পুলিশ নিরব দর্শক৷ আমাদের এজেন্টদের মেরে বার করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্পোর্টিং ক্লাবে আমাদের কর্মীরা বসেছিল৷ সকালে সেখানে গিয়ে দেখাও করে এসেছি৷ শীতকালে সকালে ভোটার সংখ্যা একটু কম ছিল৷ ধীরে ধীরে মানুষ ভোট দিতে আসছে৷ কিন্তু ওখান থেকে আমাদের কর্মীদের সমানে উঠে যেতে বলা হয়৷ এক কর্মী ওঠতে না চাওয়ায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকর মাকে হুমকি দিয়ে আসে তৃণমূলের ছেলেরা৷ তাঁর মা কাঁদতে কাঁদতে এসে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়৷ এর পর তাঁকে ঘরে বন্ধ করা রাখে৷ পরে ফোন করে ওই কর্মী জানান, ভয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে বেরতে দিচ্ছেন না তাঁরা মা৷ ’’
তিনি জানান, জেনারেল অবজার্ভার, এমআরও-র কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ থানার ওসি-কেও জানানো হয়েছে৷ সারা ওয়ার্ড জুড়ে এই ছবি৷ কল্যাণ সঙ্ঘের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে৷ মানুষ সেখান থেকে স্লিপ নিয়ে এসে ভোট দিতে ঢুকে যাচ্ছে৷ একই অবস্থা অগ্রনী হাইস্কুলেও৷ প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই এক ছবি৷ তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালেও এভাবে ভোট লুঠ করে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ ২৩-২৪টি জায়গা থেকে তাঁদের এজেন্ট তুলে দেওয়া হয়েছে৷ বাম প্রার্থীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বলুক শান্তিপূর্ণ ভোট হবে৷ শান্তিপূর্ণ ভোট তাঁরা করতে দেননি৷