রায়গঞ্জ: টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কুপন বিক্রির অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার কুপনের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের নাম মিন্টু মণ্ডল৷ তিনি দাবি করেন, তাঁর সহকর্মী এক পুলিশ অফিসারের ছেলে বাইরে যাওয়ার জন্য তার কাছে একটি কুপন চায়। সেই অনুযায়ী তিনি সহকর্মীর ছেলেকে ভ্যাক্সিনের কুপন দেন। এতেই ভ্যাক্সিনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ অপ্রতুল থাকায় উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে হাহাকার চলছে। ভ্যাকসিন পেতে রাত থেকে ভ্যাকসিন সেন্টারের সামনে বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভ্যাকসিন সেন্টারের সামনে প্রতিদিন বাসিন্দাদের লম্বা লাইন দিচ্ছেন। আজও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। রায়গঞ্জ গভঃ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে এসে কোন রকম অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল। সেখানকার পুলিশ অফিসার মিন্টু মণ্ডল এক যুবককে তিনটি কুপন দেন৷ তারই জেরে লাইনে দাড়িয়ে থাকা বাসিন্দারা প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
উত্তেজিত বাসিন্দারা কুপন পাওয়া ব্যক্তিকে আটকে রাখার চেষ্টা করে। জনতা হাত থেকে বেরিয়ে গিয়ে ওই যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। উত্তেজিত বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ অফিসার ভ্যাকসিন আগে পাইয়ে দেবার জন্য ৩০০ টাকার বিনিময়ে কুপন বিক্রি করছেন। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার এখ যুবককে বেধরক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। অবিলম্বে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি করেছেন লাইনে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষজন। যদিও মেডিক্যাল কলেজের ভ্যাকসিন কন্ট্রোল অফিসার সব্যসাচী জানিয়েছেন, তার কাছে এধরনের কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।