‘তোলা আদায় করতে না পারায়…’, নিজের দলের নেতাকেও রেহাই দেননি অনুব্রত

‘তোলা আদায় করতে না পারায়…’, নিজের দলের নেতাকেও রেহাই দেননি অনুব্রত

কলকাতা:  গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ এই মামলার গোড়ায় পৌঁছতে খানা- তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই৷ একের পর এক পর্দা উন্মোচিত হচ্ছে৷ প্রকাশ্যে আসছে বীরভূমের মুকুটহীন বাদশার বিশাল সাম্রাজ্য৷ তবে শুধুই কি গরু পাচারের টাকা? নাকি অন্য কোনও উৎসও রয়েছে৷ প্রসঙ্গত, গরু পাচারের সঙ্গে সঙ্গে কয়লা পাচার কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে কেষ্টর৷ এই উত্তেজনার আবহেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন এক তৃণমূল নেতা৷ 

আরও পড়ুন- কেন পুজোয় অনুদান? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

বোলপুর মহকুমার অন্তর্গত রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি কাজী নুরুল হুদার অভিযোগ, অনুব্রতর কথা মতে তোলা আদায় করে দিতে না পারায় তাঁকে জেল খাটিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি৷ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, একদিন দলীয় বৈঠকে অনুব্রত বলেছিলেন, পঞ্চায়েতে যে সকল কাজ হচ্ছে সেই সব কাজের ১৩ শতাংশ টাকা সরিয়ে রাখতে হবে। বলা হয়েছিল, এই ১৩ শতাংশের মধ্যে ৪ শতাংশ যাবে পার্টি অফিসে, ৬ শতাংশ পঞ্চায়েত সদস্য এবং ৩ শতাংশ পাবেন হুদা৷ কিন্তু, কেষ্টর সেই প্রস্তাবে সায় দেননি হুদা। এর পরেই তার উপর চাপ বাড়তে থাকে৷ শেষ পর্যন্ত অঞ্চল সভাপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি৷

অভিযোগ, দল ছাড়ার পরই রেহাই পাননি৷ তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ গ্রেফতার করা হয় হুদা এবং তাঁর ছেলেকে৷ শুধু তাই নয়, অনুব্রতর আঙ্গুলিহেলনে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক মামলা আনা হয়। সেই মামলায় এক বছর জেল খাটতে হল হুদা ও তাঁর ছেলেকে৷ আপাতত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন হুদা৷