কলকাতা: কলকাতা নগর দায়রা আদালতে বিচারকে জুতো ছুঁড়ে মারল সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি মুসার। এরপরেই ওই জঙ্গি দাবি করে, আমার বিচার করার অধিকার আপনার নেই৷ আমার বিচার আল্লা করবে। বিচারককে উদ্দেশ্য করে জুতো ছুড়ে মারলেও, ঘটনায় এক আইনজীবী আহত হয়েছেন। এরপরেই আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মুসার বিরুদ্ধে একাধিকবার কারা আধিরককে হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকেই দেশের গোয়েন্দা আধিকেরা জঙ্গি মুসার খোঁজ করতে থাকে। ২০১৭ সালে মুসাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রথমে তাঁকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়। সেখানে এক নিরাপত্তা আধিকারিকরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। ওই নিরাপত্তা আধিকারিক গুরুতর আহত হন। কিন্তু মুসার হাতে ধারালো অস্ত্র এল কি করে। তদন্ত করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটা চামচকে ধার দিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্রে পরিণত করে মুসা। ঘটনার পরেই মুসাকে প্রেসিডেন্সি জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও মুসার বিরুদ্ধে কারা আধিকারিককে মারাধরের অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার সে খোদ বিচারককে উদ্দেশ্য করে জুতো ছুড়ে মারে।
মঙ্গলবার শুনানির জন্য মুসাকে ব্যাংকশাল কোর্টে তোলা হয়। প্রথম থেকে মুসা আক্রমাণাত্মক দেখা যায়। সে বিচারককে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করে। শুধু তাই নয়, দাবি করে মুসার বিচার করার কোনও অধিকার বিচারকের নেই। এরপরেই বিচারককে উদ্দেশ্য করে জুতো ছুড়ে মারে। ঘটনায় আদালতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এক আইনজীবী আহত হন। ঘটনার পরে আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়।