কলকাতা: একুশের নির্বাচনে বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ নীতি’ চালু করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের এই নীতি মেনে কলকাতা পুরভোটে সাংসদ বিধায়কদের টিকিট দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল৷ রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছিল, এবারের পুরনির্বাচনে সাংসদ মালা রায় ও শান্তনু সেন-সহ তৃণমূলের বিধায়ক বা মন্ত্রীত্ব পাওয়া নেতারা এ বার টিকিট পাবেন না। কিন্তু তেমনটা হয়নি৷ ২৬ নভেম্বর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল শান্তনু সেন ছাড়া সাংসদ মালা রায়-সহ তৃণমূলের ছ’জন বিধায়কের নাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের নামও। আর তাঁরা সকলেই জয়ী হয়েছেন৷
আরও পড়ুন- ‘অবাক’ উত্থান লাল বাহিনীর! ‘বামেরা থাকা শুভ’, বললেন ফিরহাদ
উল্লেখ্য বিষয় হল, পুরভোটে যে ছ’জন বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশকেই নিজের বিধানসভার অন্তর্গত ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হয়নি। যেমন কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম প্রার্থী হয়েছেন ভবানীপুর বিধানসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে। আবার টালিগঞ্জ বিধানসভার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারকে৷ রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার প্রার্থী হন বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তেমনই বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালকে দাঁড় করানো হয় মানিকতলা বিধানসভার অধীন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে নিজের ১১ নম্বরের পুরনো ওয়ার্ডেই টিকিট পান বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ৷ তিনি বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসন থেকে। আবার বেহালা পূর্বে নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হন শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ এ প্রথমবার পুরভোটে লড়লেন তিনি৷
অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার অন্তর্গত রাসবিহারী বিধানসভার অংশ ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই প্রার্থী হন সাংসদ মালা রায়৷ এই নিয়ে ষষ্ঠবার পুরভোটে প্রার্থী হন তিনি৷ ২০১৫ সালে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হন৷