নয়াদিল্লি: তৃণমূল, কংগ্রেস থেকে শুরু করে এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি। বাদল অধিবেশনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সর্বদল বৈঠক। বিরোধীদের এককাট্টা রণংদেহী মূর্তির সামনে কার্ত কোনঠাসা হয়ে যেতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী মোদীকে৷ অন্যদিকে যেভাবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বকে বিরোধী দলগুলি মান্যতা দিল তাতে আগামীদিনে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷
আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন। রীতিমেনে অধিবেশনের আগে রবিবার সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদল বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানেই পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করা, কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগে একযোগে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়েগ, অধীর চৌধুরী, এনসিপির শরদ পাওয়ার এবং সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদবকে৷
একই সঙ্গে করোনার প্রতিষেধক টিকা বিলি নিয়ে বাংলার সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুদীপের বক্তব্যকে সমর্থন জানান অন্যান্যরা৷ এবিষয়ে সংসদের অন্দরে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানান তাঁরা। পাল্টা হিসেবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী আরও একটি সর্বদল বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দেন৷ পত্রপাঠ তা একযোগে উড়িয়ে দেন বিরোধীরা৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা সর্বদল বৈঠকে এককাট্টা হলেন তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট এবারের বাদল অধিবেশনে বেশ চাপের মুখেই পড়তে হবে মোদী সরকারকে৷ কারণ, অধিবেশনের মাঝে দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ চেহারাটা আরও শক্তিশালী আকার নিতে পারে বলেই মত ওই মহলের৷