আলিপুরদুয়ার: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাষণে একাধিকবার জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য কর্মী এবং চিকিৎসকদের করোনাভাইরাস টিকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে যারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছেন সেই সব কর্মীদেরই টিকা প্রদান করা হবে। তবে এই রাজ্যে এক ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক বেঁধে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের করোনাভাইরাস টিকা প্রাপকদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর নাম! এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, জেলা সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে তার নাম তালিকায় রয়েছে। করোনা যোদ্ধা হিসেবে তিনি টিকা পেতেই পারেন।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বাদানুবাদ শুরু হয়ে গেছে বঙ্গে। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম লঙ্ঘন করে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা একেবারেই অনৈতিক, মেনে নেওয়া যায় না। যদিও আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যা বলেছেন তাতে এক প্রকার বিধায়কের করোনাভাইরাস টিকা প্রথমে পাওয়া নিশ্চিত। তবে এই ঘটনা নিয়ে যে বিতর্ক আরো গভীরে যাবে তা বলাই বাহুল্য। একই রকম কথা বলছেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীও। তিনি জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়েই মানুষের পাশে থেকে সবাইকে সাহায্য করেছেন তিনি। সেই কারণেই স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁর নাম তালিকায় প্রথম রেখেছে। যদিও সাধারণ মানুষ যখন টিকা নেবেন তখনই তিনি টিকা নেবেন, তার আগে নয়। এমনটাই তিনি জানিয়েছেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার বলেন, যাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তারাই আগে টিকা পাবেন। একইসঙ্গে প্রথম টিকা লাগানোর পর দ্বিতীয় টিকা কখন লাগবে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাবে গ্রহীতার মোবাইল ফোনে। এদিন দেশবাসীকে আরো একটি ব্যাপারে স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। একটি নিয়ে অপরটি ভুলে গেলে কখনই চলবে না। দুটি ডোজের মধ্যে কমপক্ষে এক মাসের অন্তর রাখা হবে। দ্বিতীয়বার টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পরেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করবে ভ্যাকসিন, বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।