কলকাতা: হাইকোর্টে স্বস্তিতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে দিল্লিতে মমলা স্থানান্তরের নির্দেশিকা খারিজ। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করবে হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন- ব্রিটিশদের হাত ধরে শুরু, আজও অটুট চাঁচলের সেই কালীপুজোর ঐতিহ্য
সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চ থেকে আলাপনের মামলা দিল্লিতে প্রিন্সিপাল বেঞ্চে সরানোর নির্দেশ দেয় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ (দিল্লি)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলা গত ২২ অক্টোবর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে অবস্থিত প্রিন্সিপাল বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় প্রিন্সিপাল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলাপন বন্দোপাধ্যায়।
গত ২৮ শে মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা সভায় দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদিও ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর জন্য ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে পারেননি। তারপর গত ১৬ জুন আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়। ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ দফতরের পক্ষ থেকে এক চিঠি দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক পর্যায়ের শুনানির জন্য তাঁকে দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়। যদিও আলাপনের অনুরোধে সেই শুনানি পিছিয়ে ২ নভেম্বর করা হয়েছে। এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া খারিজ করার জন্য সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চে সম্প্রতি মামলা করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শুনানি ছিল গত ২২ অক্টোবর।
এই মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরানোর জন্য সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চে আবেদন করেছিল ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং। এই আবেদনের ভিত্তিতে গত ২২ অক্টোবরই কলকাতা থেকে মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দিল্লি বেঞ্চ। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আলাপন বন্দোপাধ্যায়।