কাঁথি: এবার কাঁথির পিতা-পুত্রকে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ তীব্রতর করলেন রাজ্যের মৎসমন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা অখিল গিরি৷ ত্রিপল চুরি মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে উচ্চ আদালতে ৩ দিনে উকিলের খরচ বাবদ শুভেন্দু অধিকারী ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন বলে দাবি করলেন তিনি৷ অখিলের জোরালো দাবি, ‘‘ত্রিপুল চুরি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে সাত জন ল ইয়ার দাঁড় করিয়েছিল শুভেন্দু৷ কলকাতার তিনজন আর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আরও চারজন ল ইয়ার এনেছিল৷ ভাবুন, তিনদিনে ল ইয়ারদের জন্য খরচ করল ৮০ লক্ষ টাকা৷’’
এরপরই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এত টাকা কোথা থেকে এলো? বাড়িতে নোট ছাপানোর মেশিন আছে নাকি? কিসের ব্যবসা? কত টাকা টার্ন ওভার? অপেক্ষা করুন, জনতার সামনে সব ফাইল আসছে৷ বিশ্বাস ঘাতকদের কাউকে ছাড়া হবে না৷ প্রত্যেককে কাঁদতে হবে৷’’ রবিবার কাঁথিতে দলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অখিল৷ সেখানেই একের পর এক প্রশ্ন সামনে আনেন তিনি৷ শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্য নাম না করে বলেন, ‘‘অতই যদি সতীপনা, তাহলে পদ আঁক়ড়ে রয়েছ কেন বাপু? আগে পদটা ছাড়ো, তারপর বিজেপির ঝাণ্ডা কাঁধে নিয়ে যা খুশি বলো৷ পদও আঁকড়ে থাকবে আর নিন্দাও করবে, এটা চলবে না৷’’
২০০৯ সালে তমলুকের সাংসদ হওয়ার সময় থেকে কাঁথি কো-অপারেটিভ, বিদ্যাসাগর কো-অপারেটিভ সহ একাধিক সমবায়ের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন শুভেন্দু৷ সেই প্রসঙ্গ সামনে এনে অখিল বলেন, ‘‘শুধু সমবায় নয়, সর্বত্র কেলেঙ্কারি৷ দিঘার বাঁধ সংস্কার থেকে পরিবহণ- সর্বত্রই দুর্নীতি আর কেলেঙ্কারির ঘটনা৷’’ এরপরই কিছুটা রহস্য জিইয়ে রেখে দাবি করেছেন, ‘‘সামান্য কটা ফাইল আসতেই ওদের ভ্রু কুঁচকে গিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী তো এখনও আসল ফাইলটা ধরেনি৷ তখন দেখবেন হালটা৷ কাঁদতে বাধ্য হবে৷’’ যদিও পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি অধিকারী পরিবারের তরফে৷ তবে অখিলের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত থেকেই এলাকায় বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা৷