কলকাতা: বিহার নির্বাচনে ‘অস্বাভাবিক’ সাফল্যের পর পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন নিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করতে। পরবর্তী ক্ষেত্রে আব্বাস নিজেও জানান যে তিনি নতুন দল করছেন এবং সংখ্যালঘু মহাজোটের ডাক দিয়েছেন। তবে সবকিছু শুরু হওয়ার আগেই দল ভাঙলো মিমের। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন মিমের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি এবং সাংগঠনিক প্রধান শেখ আব্দুল কালাম। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যারা মিমের সঙ্গে যুক্ত তারাও আজকে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিলেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শান্তনু সেনের উপস্থিতিতে তৃণমুল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন শেখ আব্দুল কালাম।
কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। বঙ্গ সফরে এসে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ঘোষণা করেন জোট করে বাংলায় নির্বাচনে লড়বেন তারা। এরপর এই আরো বড় জল্পনা উস্কে দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকি নিজে। জানিয়েছেন তিনি পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা ভাবছেন, নির্বাচন কমিশনের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়াও চলছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি সংখ্যালঘু মহাজোটের ডাক দিয়েছেন। আব্বাসের কথায় আভাস মিলেছে, বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোট হিসেবে লড়তে দেখা যেতে পারে তাদের। যদি সত্যিই এই জোট হয় তাহলে বাংলার প্রত্যেকটি বিধানসভা আসনের প্রার্থী দেবে তারা।
ইতিমধ্যেই একাধিকবার আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলকে বিজেপির বি টিম বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সংখ্যালঘু ঘটে যদি দখল করার চেষ্টা করে তারা তাহলে সেটা যে পরোক্ষে বিজেপির দিকে যাবে না সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা নেই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। যাই হয়ে যাক, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সংখ্যালঘু মহাজোট যে একটা বড় রকম ফ্যাক্টর হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।