ai
কলকাতা: ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কিছুদিন আগেই কথা বলেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষাঙ্গনে ব়্যাগিং বন্ধ করার কোনও উপায় রয়েছে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পরই এই নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়। সম্প্রতি রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে ইসরোর প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে গিয়েছে। এখন জানা গেল, তাঁদের সৌজন্যে যাদবপুরে ব্যবহার হতে পারে এআই প্রযুক্তি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় দরজায় এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখেছে ইসরো। যদিও এমনটা সম্ভব হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এমনটা হল, কোনও যন্ত্রে মুখ দেখিয়ে ঢুকতে হবে যে কোনও কাউকে। তবে এই প্রযুক্তি বিশেষ করে হস্টেলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে বলে প্রাথমিক অনুমান। প্রযুক্তির মাধ্যমে হস্টেলে বহিরাগতদের শনাক্ত করা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মঙ্গলবার এবং বুধবার ইসরোর প্রতিনিধি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘুরে দেখে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে যাওয়া হবে ইসরোর বেঙ্গালুরুর অফিসে। সেই রিপোর্ট দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৯ অগাস্ট রাতে আচমকা হস্টেলের এ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান ওই ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি৷ পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সেই রাতে ওই ছাত্রের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নও উঠেছে৷ ওই পড়ুয়া নিজে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷