পুর্ব বর্ধমানের জামালপুরে আত্মঘাতী এক আলু চাষি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে মহাজনের কাছ থেকে ধার নেওয়া টাকা মুকুব করতে পারবে না সেই আশঙ্কায় আত্মঘাতী হন ওই চাষি। ফলন ভাল হলেও বিক্রি ভালো না হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শনিবার ভোর রাতে নেন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে গত তিন বছর ধরে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন তিনি। মৃতার বাবা আরও জানান, সব নিয়ে ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষ টাকা। হিমঘরে শেষ পর্যন্ত তাঁর চারশো বস্তা আলু মজুত ছিল। সেই মজুত আলু ছাড়ানোর শেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পর হিমঘর কর্তৃপক্ষ আলু নিলাম করে দেয়। এরপরেই সেখ গোলাম আম্বিয়া মল্লিক একেবারে ভেঙে পড়েন। তারপরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। মেদিনীপুর সদর ব্লক, কেশপুর, শালবনি, গড়বেতা, গোয়ালতোড়ের নতুন নতুন এলাকায় এ বছর আলুচাষ হয়েছে। অনেক কৃষক বাজার থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে চাষে নামেছেন। কিন্তু, পাচ্ছে না দাম৷ ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ। এমন অবস্থা হয়েছে ৩০০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু বেচে মজুরদের টাকা মেটাতে পারছেন না অনেকে। কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে প্রশাসনকে ৮০০ টাকা কুইন্টাল দরে আলু কিনতে হবে। হিমঘরে আলু রাখার খরচ কমাতে হবে। কংগ্রেস নেতা তীর্থঙ্কর ভকত জানান, গড়বেতায় একটি আলু গবেষণাগার স্থাপন করার জন্য তাঁরা ১০ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। কৃষকরা বীজ ফেলা থেকে সার কেনা ফসল বিক্রি করা সবেতেই প্রতারিত হচ্ছেন। ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।