ফের বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক বাংলায়! মুরগির মড়কে মাথায় হাত

বারুইপুর : আবারও বার্ড ফ্লু’র আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। গত কয়েকদিনে একের পর এক পোল্ট্রি ফার্মে মৃত্যু হয়েছে কয়েক লক্ষ মুরগীর। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং, বারুইপুর, সূর্যপুর, ধপধপি সহ আশপাশের এলাকার প্রায় শতাধিক পোল্ট্রি ফার্মে মুরগীর মড়ক অব্যাহত। ঘটনার জেরে কার্যত মাথায় হাত পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষজনের। পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের

ফের বার্ড ফ্লুর আতঙ্ক বাংলায়! মুরগির মড়কে মাথায় হাত

বারুইপুর : আবারও বার্ড ফ্লু’র আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। গত কয়েকদিনে একের পর এক পোল্ট্রি ফার্মে মৃত্যু হয়েছে কয়েক লক্ষ মুরগীর। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং, বারুইপুর, সূর্যপুর, ধপধপি সহ আশপাশের এলাকার প্রায় শতাধিক পোল্ট্রি ফার্মে মুরগীর মড়ক অব্যাহত। ঘটনার জেরে কার্যত মাথায় হাত পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষজনের।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের দাবী শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় নয়, দুই মেদিনীপুর সহ উত্তর ২৪ পরগণা ও নদীয়া জেলাতেও একই ভাবে মুরগীর মড়ক চলছে। এই বিষয়ে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এই ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষজন। গত এক সপ্তাহের বেশী সময় ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পোল্ট্রি ফার্মগুলিতে মুরগীর মড়ক লেগেছে। যার জেরে এক একটি ফার্মের হাজার হাজার মুরগীর মৃত্যু হয়েছে। অবস্থা এতটাই ভয়াভহ যে সমস্ত পোল্ট্রি ফার্ম গুলি কার্যত ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ওই ফার্মে মুরগী চাষ করতে ভরসা পাচ্ছেন না চাষিরা। নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির মুরগী নয় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা জুড়ে ব্যবসা করা দশটির বেশী কোম্পানির মুরগীর এক নাগারে মড়ক শুরু হয়েছে। যে এলাকায় শুরু হচ্ছে দু এক দিনের মধ্যে সেই সমস্ত এলাকার ফার্মগুলি কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে পশু চিকিৎসক শুভাশিস মণ্ডল বলেন, “ কার্যত মশা বাহিত ভাইরাসের জন্যই এই মুরগীর মড়ক শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে উপসর্গ গুলি দেখে বার্ড ফ্লু বলেই মনে হচ্ছে”। একের পর এক পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীতে মড়ক শুরু হওয়ায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছে মুরগী চাষি থেকে শুরু করে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষজনের। এই বিষয়ে ক্যানিং এর এক পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সুভাষ মণ্ডল বলেন, “ গত কয়েকদিনে ধরে আমার ফার্মের মুরগী আচমকা মরতে শুরু করে। সমস্ত ওষুধ দিয়ে ও তাদের বাঁচানো যায়নি। শুধু আমার পোল্ট্রি ফার্ম নয়, আশপাশের অন্যান্য ফার্ম গুলিতেও একই অবস্থা। বার্ড ফ্লু’র জেরেই এই মুরগীর মৃত্যু হচ্ছে বলে আমাদের অনুমান”। একের পর এক পোল্ট্রি ফার্মে মুরগীর মড়ক শুরু হলেও এ বিষয়ে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর বা সরকারী কোন উদ্যোগই চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ মুরগী চাষিদের। সরকারী ভাবে বার্ড ফ্লু’র কোথা স্বীকার করেও নেওয়া হয়নি। ফলে এই মুরগীর মড়কে কার্যত মাথায় হাত এই ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − seven =