কলকাতা: আবার প্রকাশ্যে সিন্ডিকেট বিবাদ, আবার কলকাতার রাস্তায় চলল গুলি। এদিন বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে বলেও খবর। স্থানীয়দের বক্তব্য, সিন্ডিকেটের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের সময় আচমকা গুলি চলে। তাতেই আহত হয়েছে দু’জন। চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা। ইট ছোড়া থেকে শুরু করে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটে। এবার আবার সেই একই ঘটনার সাক্ষী কলকাতা।
আরও পড়ুন- ‘ধর্ষণ করেছে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে, ছেলে ফেঁসে গিয়েছে’ হাঁসখালি কাণ্ডে ফাঁস বিস্ফোরক অডিয়ো
পুলিশ সূত্রে খবর, আজকের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন মলয় দত্ত এবং বিশ্বনাথ সিংহ নামে দুই ব্যক্তি। যদিও এই দু’জন ওই সিন্ডিকেট গোষ্ঠী দু’টির সদস্য নন। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন আসল ‘দোষীরা’ পালিয়ে গিয়েছিল বলেই জানা যাচ্ছে। জখম দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং দুজনেরই বুকে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আপাতত দু’জনেই স্থিতিশীল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে উত্তম মণ্ডল নামে এক অপরাধীর বাড়বাড়ন্ত আছে। তার গোষ্ঠীর সঙ্গেই সংঘাত বাধে আর একটি সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর, যার নেতা বাচ্চা নামের এক ব্যক্তি। এখনও উত্তমের খোঁজ পায়নি পুলিশ। শোনা গিয়েছে সে অনেক দিন ধরেই পলাতক।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, গতকালই খোদ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির কাছে দুই পক্ষের মধ্যে বিরাট সংঘর্ষ হয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় পরস্পর গোষ্ঠীকে। এই ঘটনায় ৮ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, খোদ সাংসদ সৌগত রায়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। তিনি পর সংবাদ মাধ্যমে জানান, বিশাল চ্যাঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং পরিস্থিতি বুঝেই পুলিশকে ফোন করেন তিনি। বিশাল পুলিশবাহিনী আসায় এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।