কলকাতা: রাজ্যে আরও এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নদীয়ায় এক জমি অধিগ্রহণের মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তাঁর পর্যবেক্ষণ, বড় ধরণের প্রতারণা এটি। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের লোককে বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআই প্রাথমিক অনুসন্ধান করবে, প্রয়োজনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে পারবে তারা।
২০১৬ সালে একটি আইন মারফৎ সরকারি দফতরের জন্য সরাসরি জমি কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু মামলাকারী বীরেন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, তাঁর জমি অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর। ২০০৯ সালে নদীয়ার জল সরবারাহের জন্য ওই জমি চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। তবে তাঁর অভিযোগের পর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই জমির দাম ঠিক করে দেওয়া হয় ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩১ টাকা। জেলা পরিষদ জানায় ২০২৩ এপ্রিলের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওই দাম ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেই হাইকোর্টে মামলা করেন বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”west bengal panchayat election 2023 | মনোনয়নের শেষ দিন বৃহস্পতিবার খুন হলেন এক সিপিএম কর্মী।” width=”853″>
তাঁর মূল অভিযোগ জমির সঠিক মূল্যায়ন করেনি নদিয়া জেলা পরিষদ। মামলাকারী আইনজীবী তুলসী দাস জানান, ওই জমির এক মাইল দূরে এক জমির মূল্য পাঁচ কোটির ওপরে ধার্য করেছে সরকার। প্রতি শতকে ১৫ লক্ষ টাকা বেশি ধার্য করা হয়েছে। অথচ তার মক্কেলের জমি বানিজ্যিক জমি। সেক্ষেত্রে জমির দাম অনেক কম ধার্য করা হয়েছে। এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি তাঁর রায়ে উল্লেখ করেন, এটি বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত। তাঁর তিনি সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছেন।