কলকাতা: শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা আবহে রাজ্যের আবেদনে আদালতের সাড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এখনও আলোচনা চলছে। এরই মাঝে গঙ্গাসাগর মেলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান হল কলকাতা হাইকোর্টে। তিনটি মামলা দায়ের করার অনুমতি চাইলেন তিনজন আইনজীবী। তারা হলেন কবিরুল ইসলাম, অজয় কুমার দে ও প্রমোদ ভার্মা। এই তিন আবেদনকারীর আইনজীবী শুভঙ্কর নাগ, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও রিজু ঘোষাল। তিন মেম্বার কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতির বিরোধিতা করে মামলা। এই মামলার শুনানি আজই।
আবেদনকারীদের দাবি, ২০১৩ সাল থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির এখনো পর্যন্ত কার্যকারিতা রয়েছে। আদালতের কোনও নির্দেশে ওই কমিটি এখনও পর্যন্ত স্থগিত হয়নি। তাই নতুন করে কমিটি গঠনের আর কোনো প্রয়োজন নেই। তাই কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গঠনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুক। আদালত যদি মনে করে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে একটি টিম গঠন করতে পারে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের থেকে চিকিৎসকদের টিম বর্তমান করণা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। উল্লেখ্য, আদালত জানিয়েছিল রাজ্যের তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে, যে তিনজন মেলার শুরু থেকে শেষ, সবকিছু তদারকি করবেন। করোনা বিধি মানা হচ্ছে কী হচ্ছে না, সমস্ত কিছু তাদের নজরে রাখতে হবে। এই তিন সদস্যের কমিটির মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিরোধী নেতা এবং মানবাধিকার কমিটির চেয়ারম্যান বা কোনও প্রতিনিধি।
আদালত আরও জানিয়েছিল, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রেও সেই বিজ্ঞপ্তি প্রযোজ্য হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় একত্রে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। এই সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখার জন্যই এই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই কমিটি নজরদারি করবে এবং যদি রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তির অবমাননা হয় বা সঠিক ভাবে পালিত না হয় তাহলে এই কমিটি মেলা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে। এই কমিটিতে শুভেন্দু অধিকারীর অন্তর্ভুক্তি নিয়েই প্রশ্ন।