কলকাতা: পুরভোট নিয়ে এখনও কাটছে না আইনি জটিলতা৷ ইতিমধ্যেই আদালতে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে পুর নির্বাচনে ভিভিপ্যাট বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তারপরেও কিছু প্রশ্ন থেকে গিয়েছে আদালতের। এদিন সেই ইস্যুতেই অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করা হয় আদালতের তরফে।
১ ডিসেম্বর নির্দেশ ছিল কবে কবে কী ভাবে নির্বাচন করা হবে এবং কবে গণনা করা হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ অনুযায়ী সঠিক সময় জানাতে পারেনি কমিশন। কেন, এই প্রশ্ন তোলে আদালত। পাশাপাশি আদালতের বক্তব্য, কমিশনের জানানো উচিৎ তাঁরা কোন কোন তারিখে নির্বাচন করতে চায়। এর উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, রাজ্যের তরফ থেকে আগেই আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ৬-৮ দফায় নির্বাচন করা হবে। আগামী মার্চ মাসে রাজ্যে পরীক্ষা আছে। আবার কলকাতায় প্রথম ভোট কারণ এখানে প্রচুর মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এখানে যথেষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। তিনি আরও জানান, এখানে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত। তাই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন আগে করার এটা একটা কারণ।
অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও জানাচ্ছেন, বিধাননগর, আসানসোল, এই দুটি পুর নির্বাচন আগে করার পক্ষে রাজ্য সরকার। তারা চাইছে বিভিন্ন দফায় ভোট হোক কিন্ত গণনা একই দিনে হোক। উল্লেখ্য, এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্রের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, নির্বাচন কবে কবে হবে এবং তারা কবে গণনা করতে চান? ভিভিপ্যাট নিয়ে কমিশনের অবস্থান কী? গত ৯ ডিসেম্বর আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার ভিত্তিতে কমিশন কী পদক্ষেপ করেছে? প্রধান বিচারপতি আরও জানতে চান, নির্বাচন কমিশনের কাছে যে ৪ হাজার ৭৮৮ টি ইভিএম রয়েছে, তা দিয়ে কলকাতা পুরসভা ভোট হয়ে যাবে? কেনই বা তাঁরা প্রথম দফায় শুধু কলকাতা পুরভোটের নির্বাচন করতে আগ্রহী হল? বাকি পুরসভাগুলি কেন নির্বাচন করা হল না? হাওড়া পুরসভা নিয়েও কমিশন কেন এত আগ্রহী, সেই প্রশ্নও উঠেছে৷