বালুরঘাট: বুনিয়াদপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার পর থেকে যানজট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। যানজটে পড়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সহ একাধিক নেতাও। পুলিসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে, বুনিয়াদপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে এসে রোদ ও ভিড়ের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাধিক ব্যক্তি। তবে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করেনি বিজেপি।
ফলে কয়েক ঘণ্টা তাঁদের সভাস্থলের মাঠেই পড়ে থাকতে হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, সভার শেষে বুথের সদস্যদের খোঁজ না মেলায় ছন্নছাড়া অবস্থা। ভিড়ের চাপে জমির ধা নষ্ট হচ্ছে। তার জেরে সভাস্থলের পার্শ্ববর্তী এলাকার জমির মালিকরা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন৷
এদিন বুনিয়াদপুরে সভা ঘিরে উপচে পড়ে ভিড়৷ মাঠে জায়গা না পেয়ে গাছ, মাচার উপর চড়ে বসেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ সাউন্ড বক্সের উপরও উঠে পড়েন অনেকেই৷ ভিড় সামাল দিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় পুলিশকর্মীদের৷ কোনোক্রমে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঠেকিয়ে রাখা হয়৷ পরে, সভা শেষ হতেই ফের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷
গত ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে মোদির সভা শুরু হতেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে৷ হুড়োহুড়ির জেরে জখম বেশ কয়েকজন৷ মাঠ ছোট হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি বলে সভামঞ্চ থেকে জানিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদি৷ ভাষণ থামিয়ে দর্শকদের শান্ত থাকতে নির্দেশ দেন৷ কিন্তু, মোদির নির্দেশ উপেক্ষা করে বাঁশের ব্যারিকেডের উপর উঠে পড়েন বহু দর্শক৷ একে অপরের উপর ঘাড়ের উপর পড়তে থাকেন৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে সভা লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে ইট, পাথর৷ চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি৷ হুড়োহুড়ির মাঝে পড়ে জখম হন বেশ কয়েকজন৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ভাষণ থামিয়ে মঞ্চ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী৷ পরে, দুর্গাপুরে অন্য একটি সভা থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন মোদি৷