কলকাতা: মহালয়ার সকালে স্বমহিমায় মদন৷ বাবুঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা পরালেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র৷ মালা পরিয়ে মদন বলেন, ‘বেঁচে থাকুক বিজেপি’র দুই নেতা৷’ মদনকাণ্ডে রাজনৈতিক মহল শোরগোল৷ এ প্রসঙ্গে কাথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার এত খারাপ দিন আসেনি যে মদন মিত্রকে নিয়ে কথা বলব৷
আরও পড়ুন- থাইল্যান্ডেও রয়েছে পার্থর অগাধ সম্পত্তি! যার অর্ধেক মালিক আবার অর্পিতা, দাবি ইডি-র
প্রসঙ্গত, মহালয়ার দিন প্রয়াত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তিল, গঙ্গাজল উৎসর্গ করে তাদের আত্মার শান্তিকামনা করা হয়৷ পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার মাহেন্দ্রক্ষণে এই ধর্মীয় রীতি পালন করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু তা বলে জীবন্ত কোনও মানুষের তর্পণ! রবিবার সকালে পিতৃপুরুষের তর্পণ করার পর দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে মালা পরিয়ে দেন তিনি। ‘কালারফুল’ মদন মিত্রের ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্ট’ বারেবারে চমকে দিয়েছে। সেই মদন মিত্রই দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে যা করলেন, সেটা নিয়ে চরম বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে৷
তর্পণ করে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ আর নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর জন্য প্রার্থনা কেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মদন বলেন, “আমি চাই ওঁরা সুস্থ থাকুক। শান্তিতে থাকুক। পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে দিন কাটাক। বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে যে মিথ্যা অপবাদগুলি রটানো হচ্ছে, তা বন্ধ হোক।”
এ প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘১৯৬৯ সালে আমি পঞ্চায়েত জিতেছিলাম। আজ ৮৪ বছর বয়সে এসে যদি মদনকে কাউন্টার করতে হয়, তা হলে তো…। এদের নিয়ে কথা বলা যায় না।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ মন্ত্রীত্ব ফিরে পাওয়ার জন্যে উনি ওসব করছেন৷ তবে যাই করুন, মন্ত্রিত্ব উনি ফিরে পাবেন না, অবসরের সময় এসে গিয়েছে। এরপর শুধু ফেসবুক লাইভ করবেন আর সুইমিং পুলে নাতির সঙ্গে সাঁতার কাটবেন।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>