CBI
কলকাতা: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়৷ এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল কলকাতা হাই কোর্ট৷ সম্পত্তির খতিয়ান জানতে চাইছে ইডি-ও৷ (CBI)
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিষেকের কাছে আরও নথি চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ অভিষেক ও তাঁর পরিবারের নামে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেই খতিয়ান জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও অভিষেক-সহ সকল ডিরেক্টরের সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে হবে আদালতকে। এছাড়াও, শেয়ার কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্যও জানতে চেয়েছে আদালত। ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে, অভিষেক যে এখনও লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও, সে কথা ইডির কাছে কবুল করে নিয়েছেন তিনি৷ ইডি সূত্রে খবর, কোম্পানিতে সিইও-র ভূমিকা জানতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। অভিষেকের গতকালের বয়ান ও ইডির হাতে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখছেন দুই অফিসার।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায় এক সময় সিইও ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালিঘাটের কাকু৷ সংস্থার ডিরেক্টরের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বেশ কয়েক জন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা জানান, সংস্থার সব সদস্যের সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে। সংস্থার সংগঠনের স্মারকলিপি জমা করতে হবে ইডিকে। সংস্থার রেজিস্ট্রেশনের তারিখও জানাতে হবে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ গ্রেফতার হওয়ার পরই ইডির আতশকাচে আসে তাঁর সংস্থা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস। ওই সংস্থার দফতরেও তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশির পর সংস্থার বেশ কিছু নথি হাতে আসে তাঁদের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সুজয়ের সংস্থা এসডি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গেও লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেনের প্রমাণও খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷ চার্জশিটে ইডি-র দাবি, ২০২০-২১ সালের মধ্যে এসডি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ৯৫ লক্ষ ১ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।
গতকাল প্রায় ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইডি-র উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ নিশানায় ছিল বিচারব্যবস্থার একাংশও। তাঁর চ্যালেঞ্জ, জিজ্ঞাসাবাদে কী জবাব দিয়েছি, পারলে আদালতে জমা দিক ইডি৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর মুখে উঠে আসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্ত সেনের প্রসঙ্গ৷ অভিষেকের প্রশ্ন, ‘৯ বছর ধরে সুদীপ্ত সেন জেলে, ১৪ মাস ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। কোনও সুরাহা হয়েছে কি? কেউ কি ন্যায় বিচার পেয়েছে?’