শান্তিপুর: জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ নয়, মানুষ! তারই জেরে কুমিরকে ‘অ্যারেস্ট’ করতে দিনভর লুকোচুরি খেলা চলল তল্লাটে৷ অগত্যা, কাজের দিনেও কুমিরকে নিয়ে দিনভর ব্যস্ত রইল নদিয়ার শান্তিপুর৷
বৃহস্পতিবার কুমীরের দেখা মিলেছিল নদিয়ার নবদ্বীপে ভাগীরথীর জলে৷ যার জেরে বৃহস্পতিবার দিনভর সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক৷ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এবার কুমিরের দেখা মিলল শান্তিপুরে৷ স্বভাবতই, নতুন করে কুমিরের আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়৷ পারতপক্ষে কেউই নদীর জলে ঘেঁষছেন না৷ এমনকি মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদেরও এদিন দেখা যায়নি নদীতে নামতে!
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার শ্রীরামপুর গঙ্গার ঘাটে দেখা মেলে কুমিরের। খবরটি পাঁচ কান হতে বেশি সময় লাগেনি৷ ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ভয়ে জড়সড় হয়ে যান এলাকার সাধারণ মানুষ। কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই আবার শান্তিপুর টেংরি ডাঙা গ্রামের গঙ্গার ঘাটে আবারও জলে ভেসে ওঠে কুমির। সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বনদফতরের এর কর্মীরা। তাঁরা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য রাখছে জলে ভেসে ওঠা কুমিরটির দিকে। রাতদিন এক করে এখনও পর্যন্ত নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে শান্তিপুর পর্যন্ত ভাগীরথী নদীর বিভিন্ন ঘাটে অবিরাম তদারকি করে যাচ্ছেন বনদফতরের কর্মীরা। উদ্দেশ্য একটাই, কুমিরের সংখ্যা জানা এবং তাঁকে পাকড়াও করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া৷ এক বন কর্তার কথায়, একটাই কুমির নাকি বেশি সেটাও স্পষ্ট হওয়া দরকার৷ বনকর্মীরা নজরদারিতে রয়েছেন৷ আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই কুমিরটিকে জালে ধরা যাবে৷