গাইঘাটা: দলবদলের হিড়িক অব্যহত৷ নন্দীগ্রাম, বসিরহাটের পর এবার গাইঘাটা৷ রবিবার গাইঘাটার সুটিয়া অঞ্চলের বিজেপির ৩৫০টি পরিবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। রবিবার বিকালে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতেই তৃণমূলে যোগদান, বলে দাবি করেছেন দলবদুলরা৷
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘ বিজেপি দলটা এখন আর নেই। ওদের ভাঁওতায় কেউ আর ওদের সঙ্গে থাকতে চাইছে না। দলে দলে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের যোগদান করতে চাইছেন। আজকের ঘটনা তারই প্রমাণ’’ যদিও বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের দাবি, ‘‘ওখানে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন মানুষ যোগদান করেছে। যারা ভোটের আগে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিজেপিতে এসেছিল, তারাই আবার ফিরে যাচ্ছে। অনেকে ভয় দেখিও যোগদান করাচ্ছে তৃণমূল। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জা।’’
প্রসঙ্গত, এদিন নন্দীগ্রামে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ আবার বসিরহাটে তো মিছিল করে তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে এসে দল বদলেছেন বিজেপির নেতা, কর্মীরা৷ প্রসঙ্গত, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল৷ স্বাভাবিকভাবেই জেলায় জেলায় বিজেপির ভাঙনের জেরে এলাকায় এলাকায় সংগঠন ধরে রাখা নিয়েই উঠছে প্রশ্নচিহ্ন৷ যদিও শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেই দায় সারছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা৷