ইংরেজবাজার: তৃণমূলের জনসভায় গিয়ে পা হারানের দুই বছর পর দেখা করলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার বিধায়ক থেকে তৃণমূল নেতাদের দ্বারে ঘুরেও মেলেনি সাহায্য। ফলে মায়ের চিকিৎসার জন্য ছেলে কিডনি বিক্রির আর্জি জানিয়েছে। এরপর তরিঘরি তৎপর হয় প্রশাসন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি চাপানুতর। উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার গাজোল থানার রসিকপুর এলাকায়।
ওই মহিলার নাম নন্দ রানী বিশ্বাস। গাজোলের রসিক পুরের বাসিন্দা ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের সময় স্থানীয় একলক্ষী এলাকায় মেয়র পারিষদ তথা তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষের জনসভা গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নন্দরানী বিশ্বাস। এরপরই তার ডান পা কেটে বাদ দেওয়া হয়। গত তিনমাস ধরে অর্থের অভাবে বন্ধ চিকিৎসা। পাশাপাশি তাঁর এক ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। ফলে তাদের প্রচুর টাকা আর্থিক ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে বড় ছেলে গোপাল বিশ্বাসএলাকার বিধায়ক ও তৃণমূল নেতৃত্বের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মিলেনি সাহায্য।
বাধ্য হয়ে প্রশাসনের কাছে মায়ের চিকিৎসার জন্য তার একটি কিডনি বিক্রির আর্জি জানায়। এরপরই তৎপর হয় প্রশাসন। এদিন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। নন্দ রানী বিশ্বাস বলেন,এতদিন পরে তারা তার কথা মনে রেখে বাড়িতে এসেছে এতেই আমি খুশি। পাশাপাশি তারা সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।