কলকাতা: একে রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর৷ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তিন তৃণমূল নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার তৎপর হল ইডি-ও৷ সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও এই মামলায় আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তের দায়িত্বে ছিল৷
সূত্রের খবর, নারদা কাণ্ডে এদিন সিবিআইয়ের হাতে ধৃত চার নেতা এবং আগেই গ্রেফতার হওয়া আইপিএস অফিসার এইচএমএল মির্জার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ এর সঙ্গেই ধৃত চার নেতার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু করছে ইডি৷ সেজন্য ওপরমহলের অনুমতিও তারা পেয়ে গিয়েছে৷
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে রাজ্য বিজেপি৷ এরপরই সিবিআইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করে ইডি৷ এই ঘটনায় অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ জড়য়ে থাকায় তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে৷ নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত সব নেতাদেরই বেশ কয়েকবার জেরা করেছে ইডি৷ তারপর অবশ্য বেশ কয়েক দিন কোনও উচ্চবাচ্য করেনি সিবিআই বা ইডি৷ সোমবার আচমকাই নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিবহিআই।
সকালেই বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয়েছে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়দেরও। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশান অব কোরাপশান অ্যাক্ট অনুযায়ী, ১২০ বি আইপিসি, ৭ নং ধারা, ১৩/২, ১৩/১ এ, ১৩/১/বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ ৫ লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে নিয়েছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধেও সিবিআইয়ের তরফে ওই একই অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সিবিআইয়ের৷ মদন মিত্রর বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই। ছবি: নারদা স্টিং অপারেশনে প্রকাশিত ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল৷