রীতি ভেঙে পিছিয়ে গেলে কলকাতা বইমেলা, কেন এই বিলম্ব?

কলকাতা: বইমেলার আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার ভেঙে পিছিয়ে গেলে কলকাতা বইমেলা৷ অন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এবার কলকাতা বইমেলার দিন নির্ধারিত ছিল ৩০ জানুয়ারি৷ ১৯৭৬ সালে থেকে চালু হওয়া এই বইমেলা ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক বইমেলার স্বীকৃতি অর্জন করে৷ তখন থেকেই জানুয়ারি মাসের শেষ বুধবার বইমেলার উদ্বোধন হয়ে আসছে৷ কিন্তু, এবার ঘটল ব্যথিক্রম৷ একদিন পিছিয়ে বইমেলা শুরু হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি,

রীতি ভেঙে পিছিয়ে গেলে কলকাতা বইমেলা, কেন এই বিলম্ব?

কলকাতা: বইমেলার আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার ভেঙে পিছিয়ে গেলে কলকাতা বইমেলা৷ অন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এবার কলকাতা বইমেলার দিন নির্ধারিত ছিল ৩০ জানুয়ারি৷ ১৯৭৬ সালে থেকে চালু হওয়া এই বইমেলা ১৯৮৪ সালে আন্তর্জাতিক বইমেলার স্বীকৃতি অর্জন করে৷ তখন থেকেই জানুয়ারি মাসের শেষ বুধবার বইমেলার উদ্বোধন হয়ে আসছে৷ কিন্তু, এবার ঘটল ব্যথিক্রম৷ একদিন পিছিয়ে বইমেলা শুরু হচ্ছে ৩১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার৷ চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ কিন্তু, রীতি ভেঙে কেন এই বিলম্ব? প্রশ্ন তুলছেন বইপ্রেমিরাই৷
কলকাতা বইমেলা চত্বরেই আয়োজিত হবে কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল। ৩০ জানুয়ারি বইমেলা শুরু হবে বলে নির্ধারিত ছিল৷ তার পরিবর্তে মেলার উদ্বোধন হবে ৩১ তারিখ বিকেল ৪টেয়৷ ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্য অংশগ্রহণ করবে কলকাতা বইমেলায়৷ আসছে গোটা বিশ্বের অন্তত ১৫টি রাষ্ট্র৷ তবে ফের সমস্যা হয়েছে পাকিস্তানকে নিয়ে৷

মায়া সভ্যতার রহস্য ও সংস্কৃতি নিয়ে এবার কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি গুয়েতেমালা আসছে৷ দিল্লিতে কলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড এবং গুয়েতেমালা দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে আয়োজিত বইমেলায় এই প্রথমবার গুয়েতেমালা মায়া সভ্যতার প্রাচীন নিদর্শন, হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি এবং গুয়েতেমালার ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে একটি সম্পূর্ণ অভিনব প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করবেন। বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের ডিরেক্টর সুধাংশু দে এবং সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, এই প্রথম কলকাতা বইমেলায় ভারতের প্রাচীনতম একটি করে আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতির প্রদর্শন করা হবে। প্রথম বছরেই বেছে নেওয়া হয়েছে মেল, লায়েং ও লেপচা উপজাতির ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে। এবার মহাত্মা গান্ধীর দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বইমেলায় প্রদর্শিত হবে মহাত্মা গান্ধীর বাংলা চর্চার প্রদর্শনী। তাঁর বাংলায় হস্তলিপি, আসল চিঠি থাকবে প্রদর্শনীস্থলে৷  সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা পাকিস্তানের প্রকাশকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি৷ তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন আসবেন৷ তবে জানা যাচ্ছে, এখনও তারা ভিসা পাননি৷ বইমেলা কবে স্থায়ী স্থান পাবে? সুধাংশুবাবু বলেন, যেভাবে দ্রুত কাজ চলছে, আমরা আশা করছি আগামী বছর অথবা ২০২১ সালে স্থায়ীভাবে বইমেলা আয়োজিত হবে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =