লখনউ: বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর যোশী, কল্যাণ সিংসহ অভিযুক্ত ৩২জনকে নির্দোষ বলে মুক্তি দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এদিকে আঠাশ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে খুশি লালকৃষ্ণ আডবানি। মসজিদ ধ্বংসের পেছনে তাঁর কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত।
একসময় বিজেপির এই শীর্ষ নেতার দলের অবস্থান খুব একটা পাকা নয়। ফলে এদিনের রায় তার কাছে বড়সড় একটা পাওনা। আদালতে নিজে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে রায়ের সবটাই শুনেছেন আদবানি। রায় শোনার পর তিনি বলেন, সিবিআই বিশেষ আদালত যে রায় দিয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সবার খুশির দিন। জয় শ্রীরাম মন্ত্রের মাধ্যমে এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। এই রায় তাঁর দল বিজেপি এবং তাঁকে সন্দেহমুক্ত করেছে বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন নভেম্বরে একটি রায়ে রাম মন্দির তৈরির পথ খুলে যাওয়ার পর এই রায় তাংর কাছে আরও খুশির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে এদিন আদবানি বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের মতো রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দিকে তিনিও তাকিয়ে রয়েছেন। আদবানির পাশাপাশি বাবরি ধ্বংসের এই রায়ে আমজনতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এই রায়কে স্বাগত জানালেও অনেকেই এটিকে সমালোচনা করেছেন।
বাবরি মামলার রায় দিয়ে গিয়ে আজ বিশেষ সিবিআই আদালত জানিয়েছে, মসজিদ ভেঙেছিল ‘দুষ্কৃতীরা’, অভিযুক্তরা উন্মত্তদের থামাতে গিয়েও ব্যর্থ হন অভিযুক্তরা। মসজিদ ভাঙার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের ষড়যন্ত্র ছিল এমনটাও সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণ থেকে প্রমাণ হয় না। বিশেষ সিবিআই আদালত জানিয়েছে বাবরি মসজিদ ধ্বংস কোনও পরিকল্পনা করে হয়নি। বরং এটি একটি তাৎক্ষণিক ঘটনা। অভিযুক্ত ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফোটো ও অডিয়োর সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই। যারা মসজিদের গম্বুজের ওপরে উঠেছিল তারা দুষ্কৃতী। আদালত আরও জানিয়েছে, ঘটনার সময় নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের অডিয়ো স্পষ্ট নয়।