মালদহ: একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে বারবার বঙ্গমুখী হয়েছেন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতারা৷ এবার ভোটমুখী বাংলায় প্রচারে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ মঙ্গলবার মালদহ জেলায় জনসভায় করবেন তিনি। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আদিত্যনাথই প্রথম বাংলায় প্রচারে আসছেন৷
আরও পড়ুন- এক শরীরে দু’টি স্ত্রীঅঙ্গ, জটিল অস্ত্রপচারে শিশুকন্যার জীবনদান পিজি’র
তৃণমূল জমানার অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির৷ সেই লক্ষ্যেই বারবার বাংলায় ছুটে আসছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷ জানা গিয়েছে, রাজ্যে এক ডজন সভা করবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ জনসমাবেশে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যু, রাজ্যের দুর্নীতি, লাভ জিহাদের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারেন আদিত্যনাথ৷ পাশাপাশি ডবল ইঞ্জিন সরকারের সাফল্যের খতিয়ান হিসাবে রামমন্দির নির্মাণ সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে পারেন তিনি৷
আজ গাজোলে সমাপ্তি ঘোষণা হবে উত্তরবঙ্গের পরিবর্তন যাত্রার৷ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন যোগী আদিত্যনাথ৷ এছাড়াও এদিন মঞ্চ দেখা যাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, অর্জুন সিং সহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্বকে৷ সোমবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের প্রচার করে বিজেপি’র কর্মীরা৷ এমনকী আদিত্যনাথের সভার কথা প্রচার করতে খোদ আসরে নেমেছেন সায়ন্তন বসু৷
কিন্তু বিজেপি’র এই কৌশলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল৷ তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, বাংলায় খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সেই খেলার সূচনা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রকত মণ্ডলরা৷ বাংলায় কোনও বিরোধী দল নেই৷ বালুরঘাটে রাজনাথ সিংয়ের জনসভায় তেমন লোক হয়নি৷ মালদহে তাদের রথযাত্রাও ফ্লপ৷ আর আজ আদিত্যনাথের জনসভাতেও লোক হবে না৷
আরও পড়ুন- ব্রিগেডে আব্বাসের মন্তব্যে তুষ্ট নন বিমান, দিলেন বক্তৃতার পাঠ
এদিকে আদিত্যনাথ হলেন বিজেপি’র তারকা প্রচারক৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে বিজেপি’র পাখির চোখ হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক৷ এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগেও বাংলায় প্রচারে এসেছিলেন আদিত্যনাথ৷ সেবারও তিনি প্রচার শুরু করেছিলেন মালদহ জেলা থেকেই৷ তবে গত মাসে তারাপীঠ ও জঙ্গল মহলে পরিবর্তন যাত্রার সূচনায় নাড্ডার সভায় লোক হয়নি৷ এই ঘটনায় রাজ্য নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল৷ এদিন যাতে সেই ঘটনার পুবরাবৃত্তি না হয়, তা নিয়ে বাড়তি সতর্ক রাজ্য নেতৃত্ব৷