কলকাতা: গত ২৪ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ গতকাল রাতে সব শেষ। প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আপামর বঙ্গ রাজনৈতিক নেতারা শোকে ভারাক্রান্ত এই খবরে। একে একে প্রায় সকলে শোকপ্রকাশ করেছেন তাঁর মৃত্যুর খবর। অধিকাংশই এই মৃত্যুর খবর প্রত্যাশা করেননি স্বাভাবিকভাবেই। সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনিও ভীষণ মর্মাহত এবং স্তম্ভিত।
অধীর জানাচ্ছেন, তিনি এই খবর যে সত্যি সেটা ভাবতেই পারছেন না। কিছুদিন আগেই হাসপাতালে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন। তিনি জানাচ্ছেন যে, সুব্রত মুখোপাধ্যায় বেশ হাসিখুশি ছিলেন, খোশ মেজাজেই গল্প করছিলেন। কিন্তু এক মুহূর্তে সব শেষ। অধীরের কথায়, বাংলার রাজনীতির একটা প্রজন্ম শেষ হল। ‘প্রিয়-সোমেন-সুব্রত’ চলে গেলেন একে একে। অধীর সুব্রতর স্মৃতিচারণায় আরও বলেন, সুব্রতদা থাকা মানেই একদিকে হাসির রোল, অন্যদিকে, সিরিয়াস আলোচনা। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও হাসিখুশি থাকতে পারতেন তিনি। দারুণ বিচক্ষণ এবং গুণী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি বলে জানান অধীর।
উল্লেখ্য, হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে আসার পর চিকিৎসকরা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন৷ এর পর তাঁর বুকে দুটি স্টেন্টও বসানো হয়৷ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়৷ আক্রান্ত হন স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে৷ তড়িঘড়ি আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়েই এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী। রাত ৯টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ৷ প্রসঙ্গত, আজ হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার কথা ছিল বর্ষিয়ান এই রাজনৈতিক নেতার। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য সরকার আজ, সরকারি কার্যালয়গুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।