কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই তাঁর ‘ব্যক্তিগত মতামত’ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, এখন মেলা-খেলা-ভোট বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে সব হবে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে কারণ এর ঘোর বিরোধিতা করেছেন অন্য এক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যে দলের সর্বভারতীয় জায়গায় থেকে ‘ব্যক্তিগত’ মত প্রকাশ করা যায় না। তিনি এও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তিনি কাউকে নেতা হিসেবে মানেন না। আবার অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। এই ইস্যুতে এবার অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি দাবি করছেন, মমতা বনাম অভিষেক এখন স্পষ্ট।
অধীরের বক্তব্য, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘খাঁড়া লোক’। তিনি সোজা কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ইন্ধন’ না থাকলে তিনি এই কথা বলতে পারতেন না। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছে। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষকে এখনও বিভ্রান্ত করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত কথা হচ্ছে, সব কি তিনি জানেন না, প্রশ্ন তোলেন তিনি। অধীরের আরও সংযোজন, অভিষেকের বিরুদ্ধে যে যে কথা বলা হচ্ছে, তার কি কিছুই জানেন না মমতা? স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে কল্যাণকে ‘ইন্ধন’ দিচ্ছেন তিনি। সব মিলিয়ে এই ইস্যুতে মন্তব্য করে আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
আসলে এই ইস্যু নিয়ে একেবারে ধূন্ধুমার লেগে গিয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে। কল্যাণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে অপরূপা পোদ্দার। কুণাল জানিয়েছিলেন, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষে সব কিছুর ওপর নজর রাখছেন। এ নিয়ে কোনও প্রকাশ্য বিতর্ক পার্টি ভালচোখে দেখছে না। অন্যদিকে অপরূপা বক্তব্য, দলের চিফ হুইপ পদ ত্যাগ করা উচিত কল্যাণের। তবে আপাতত মনে করা হচ্ছে এই নিয়ে বিতর্ক এখানেই থেমেছে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে।