পঞ্চায়েত দফা বাড়ানোর দাবিতে হাইকোর্টে যাচ্ছেন অধীর! পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের জল্পনা!

পঞ্চায়েত দফা বাড়ানোর দাবিতে হাইকোর্টে যাচ্ছেন অধীর! পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের জল্পনা!

 

কলকাতা:  মামলার পর মামলা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যেভাবে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে তা অতীতে কোনও দিন দেখা যায়নি। সেদিক দিয়ে তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছে। এবার নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

 

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যেভাবে সন্ত্রাস চলছে জেলায় জেলায়, তাতে এক দফায় নির্বাচন হলে আরও অশান্তি হবে। এই অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বহরমপুরে সাংবাদিক সম্মেলন এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “দফা বাড়ানো দরকার। মহামান্য আদালতের কাছে আমি আবার দাবি করব আগামী সোমবার, যেন দফা বাড়ানো হয়। না হলে এই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হবে৷”

 

সেই সঙ্গে বলেন, ”যদি সন্ত্রাস মুক্ত ভোট হয় সেটাই জানব বাংলার জন্য বিরাট পাওনা৷” ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে দফা বাড়ানোর ব্যাপারে নতুন করে মামলা দায়ের হতে চলেছে। নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। তার আগে অধীর এ বিষয়ে যেভাবে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বললেন, তাতে পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্ধারিত দিনেই হয় কিনা সেটা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হল। 

 

যাবতীয় সমস্যা তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চাইলেও এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই অধীর-সহ বিরোধীরা চাইছেন একাধিক দফায় নির্বাচন হলে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনীকে সুন্দরভাবে কাজে লাগানো যাবে, যাতে ভোট সুষ্ঠুভাবেই হবে। কিন্তু সেই দাবি কমিশনের মানার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। আর সেটা আঁচ করেই নির্বাচনের মাত্র কয়েকটি দিন আগে এই ইস্যুতে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, নতুন করে মামলার গেরোতে পঞ্চায়েত নির্বাচন আবার আটকে যাবে না তো? তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কোন পথে সেটা নিয়ে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি যদি প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাতে উদ্যোগী হতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তাহলে এই অচলাবস্থা তৈরি হতো না। যেভাবে তারা বারবার আদালতে গিয়ে সময় নষ্ট করেছে তাতেই বাহিনী নিয়ে জটিলতা বেড়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত পুরো বাহিনী বাংলায় আসতে পারত বলে  অনেকেরই মত। আর সেটা না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়াতেই এবার শেষ মুহূর্তে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানোর দাবি উঠেছে বিরোধীদের তরফ থেকে। তাই বিষয়টি নিয়ে আদালত কি পর্যবেক্ষণ শোনায় এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 19 =