নয়াদিল্লি: বঙ্গ রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক একেবারে আদায়-কাঁচকলায়৷ একে অপরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে পিছ পা হয় না কেউ৷ জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে দোস্তি থাকলেও রাজ্যে একলা চলো নীতি নিয়েই ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল৷ তাই অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই বিরোধিতা থাকুক না কেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেস যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক বলেই মনে করে, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল। এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে সোজা-সাপটা বলেন, ভোটের পর সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কী কৌশল নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধীর চৌধুরী কেউ নন। সেটা ঠিক করবে কংগ্রেস হাইকমান্ড। বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরেই খাড়্গে বলেন, ‘‘হাইকমান্ডের কথা মানতে হবে, তাদের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে, না হলে বাইরের পথ খোলা আছে৷’’
খাড়্গের মন্তব্য শুনে অধীরের বক্তব্য, ‘‘আমিও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। আমিও হাইকমান্ডেরই অংশ!’’ অধীর যে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে সম্মুখসমরে নেমে পড়লেন, তা প্রায় স্পষ্ট।