সুশান্ত মৃত্যু মামলায় রাজনীতির রং, ‘বাঙালি ব্রাহ্মণ কন্যা’ রিয়ার পাশে দাঁড়ালেন অধীর

কলকাতা: বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবারই বোমা ফাটালেন অধীর চৌধুরী। সুশান্ত সিং রাজপুতকে 'বিহারী অভিনেতা' বলার পাশাপাশি রিয়া চক্রবর্তীকে “বাঙালি ব্রাহ্মণ মহিলা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে নিশানা দাগতেই যে এ কাজ করেছেন অধীর, তাঁর টুইটেই তা স্পষ্ট।

 

fb56d875047c0d2a25e40ad7277e8796

কলকাতা: বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবারই বোমা ফাটালেন অধীর চৌধুরী। সুশান্ত সিং রাজপুতকে 'বিহারী অভিনেতা' বলার পাশাপাশি রিয়া চক্রবর্তীকে “বাঙালি ব্রাহ্মণ মহিলা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে নিশানা দাগতেই যে এ কাজ করেছেন অধীর, তাঁর টুইটেই তা স্পষ্ট।

সুশান্ত মৃত্যু মামলায় রিয়া চক্রবর্তী সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালি মহিলাদের বিরুদ্ধে ট্রোল শুরু হয়েছিল। বর্তমানে NCB গ্রেপ্তার করেছে রিয়াকে। ড্রাগ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রিয়া। টুইটারে অধীর চৌধুরী করেছেন, “প্রয়াত তারকা সুশান্ত সিংহ রাজপুত ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। বিজেপি তাঁকে বিহারি অভিনেতা হিসাবে পরিণত করেছে কেবলমাত্র নির্বাচনে পয়েন্ট অর্জন করতে। রিয়ার বাবা একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা। জাতির সেবা করেছেন। রিয়া একজন বাঙালি ব্রাহ্মণ মহিলা। অভিনেতা সুশান্ত রাজপুতের ন্যায়বিচারকে বিহারীর ন্যায়বিচার হিসাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।” একদিকে বিজেপি রাজপুতকে নিয়ে বিহারের দিকে দড়ি টানছেন। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস চুপ। এর মাঝে অধীর বিহার ও বাংলায় প্রান্তিক নির্বাচনী লড়াইয়ে অধীর চৌধুরী এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। টুইটারে তিনি এও লিখেছেন, “রিয়ার বাবাও তাঁর বাচ্চাদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করার অধিকারী।”

5cb1010ae8ec1fb1067ce5b6dbcd879f

আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠীসঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী, গুলিতে জখম ২, শুনসান এলাকা

রাজপুতের মামলায় মাদকের অ্যাঙ্গেল অনুসন্ধানের জন্য রিয়া এবং ভাই সৌভিককে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেপ্তার করেছিল। কংগ্রেস নেতা এটিকে হাস্যকর বলে অভিহিত করে বলেছিলেন: “রিয়া চক্রবর্তীকে আত্মহত্যা বা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়নি, কোনও অর্থনৈতিক অপরাধের জন্যও অভিযুক্ত করা হয়নি। তাকে এনডিপিএসের (নারকোটিক ড্রাগস এবং সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্স অ্যাক্ট) আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্তাদের খুশি করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তাদের ভূমিকা পালন করেছে, সমুদ্র মন্থনের পরে তারা অমৃতের পরিবর্তে ড্রাগ আবিষ্কার করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *