বাঁকুড়া: রাজ্যে প্রথম দফার ভোট পেরিয়ে শুরু হয়েছে গেছে দ্বিতীয় দফার জন্য দিন গোনা। কিন্তু উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া এই ভোটের উত্তেজনার মাঝে অধীর চৌধুরীকে খুঁজতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে। যখন নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমে উত্তর থেকে দক্ষিণ বাংলায় ছুটে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা, তখন কোথায় গেলেন জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি? কোথায় গেল শাসকদলের বিরুদ্ধে তাঁর শানিত ক্ষুরধার আক্রমণ? তিনি কী ভেঙে পড়লেন?
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট আর আব্বাস সিদ্দীকির নতুন দল আইএসএফ-এর সঙ্গে হাত মিলেয়েছে কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চার এই জোট শরিককে অধীর চৌধুরী মন থেকে মেনে নিতে পারেননি বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। আর তাই হয়তো তিনি নির্বাচনী উত্তাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন দূরে, অন্তত তেমনটাই মনে করছিলেন দলীয় সমর্থকরা। কিন্তু মঙ্গলবার সেই ধারণাকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। বাঁকুড়ায় সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী রাধারানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে এদিন গলা ফাটাতে দেখা গেল তাঁকে।
এদিন চেনা ভঙ্গিতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল আর কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে এক যোগে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে জোকারের লড়াই চলছে। এখানে আসলে কোনো রাজনীতি নেই। বাংলার মানুষ এই খিস্তি খেউড়ের রাজনীতিতে ক্লান্ত।” মানুষ বিজেপি আর তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বাঁকুড়ায় সংযুক্ত মোর্চা যে প্রার্থী দিয়েছিল তিনি সম্প্রতি দল ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে। এদিন তাঁকে “বিশ্বাসঘাতক” বলেও অভিহিত করেন অধীর চৌধুরী। রাধারানী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে তিনি বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার মোড় পর্যন্ত রোড শো-তেও হাঁটেন। ৪০ ডিগ্রির দাবাদহে বাঁকুড়ায় সংযুক্ত মোর্চার হয়ে প্রচারের সৈনিক অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দেখলে কে বলবে তিনি জোটে অসন্তুষ্ট?