কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় ‘রাহুল গান্ধী পারেননি, মমতাই বিকল্প মুখ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে। তা নিয়ে এখন রীতিমত হইচই। এই প্রতিবেদন দিয়েই ঘাসফুল শিবির কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান প্রায় পাকা করে দিয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস গেলেও নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে ‘মুখ’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল গান্ধী নন। এই প্রতিবেদন নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, তৃণমূলের মুখপত্র ঠিক করে দেবে না রাহুল গান্ধীর যোগ্যতা।
আরও পড়ুন- ভিন্ন ভিন্ন জ্বর! তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই ‘কাঁপুনি’ বাংলায়
অধীরের বক্তব্য, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আবেদন করছে। অন্যদিকে নিজেদের মুখপত্রে সটান ঘোষণা করে দিচ্ছে যে কে যোগ্য আর কে যোগ্য না। বিরোধী দলগুলির মতামত না নিয়ে, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে, তাদের অপমানিত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটাকে খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় বলছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি আরও বলছেন, কার যোগ্যতা আছে কিংবা নেই সেটা কোনও রাজনৈতিক দলের মুখপত্র ঠিক করে দেবে না। রাহুল গান্ধী যোগ্য না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা পরের কথা, কিন্তু এই নিয়ে কোনও দলের মুখপত্র মন্তব্য করতে পারে না। এইভাবে পরোক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির হাত শক্ত করছে বলেই ধারণা অধীরের। তাঁর আরও সংযোজন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এখন থেকেই বলে দেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, তাহলে সবাই হাসাহাসি করবে। নির্বাচন ২০২৪ সালে, তখন দেখা যাবে কী হয়। তাঁর স্পষ্ট দাবি, রাহুল গান্ধীর যোগ্যতা সম্পর্কে তৃণমূলের কোনও ধারনা নেই।
আরও পড়ুন- মমতার এজেন্ট সুফিয়ানকে সিবিআই তলব! কী কারণ
এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দেশে বিকল্প মুখের প্রয়োজন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাহুল গান্ধীকে চেনেন। কিন্তু বলতে হচ্ছে যে তিনি এখনও নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে। সমস্ত বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে মমতাকে বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরেই প্রচারে যেতে চাইব।” এদিকে আবার দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে সুযোগ পেয়েও রাহুল গান্ধী এখনও মোদী বিরোধী সেই জায়গাটা প্রমাণ করতে পারেননি। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফলেই একটা আলাদা ছাপ তৈরি করেছেন। গোটা দেশ তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল।